পেঁয়াজের ‘সেঞ্চুরি’, সবজি ছুঁলেই ‘ছেঁকা’, ডিমও ‘গরম’! বাজার করতে গিয়ে চোখে জল মধ্যবিত্তের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আবার সেঞ্চুরি করল স্বাদের পেঁয়াজ। কারণ পুজোর মরশুমে ১০০ টাকা কেজি হল পেঁয়াজের দাম। যার ঝাঁঝে এখন চোখে জল চলে এসেছে।

উৎসবের দিনগুলোতে যে একটু ভালমন্দ খাওয়া হবে তার জো নেই। শহর কলকাতার বিভিন্ন বাজারে অগ্নিমূল্য সবজির দাম। জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি কমপক্ষে ৩২ টাকা। আর চন্দ্রমুখী ৪০। পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। লঙ্কাও প্রচণ্ড ‘ঝাল’। কেজি প্রতি বিকোচ্ছে ২০০ টাকায়। বলতে গেলে ৬০ টাকার নিচে কোনও সবজিই নেই।

মাছ, মাংস, ডিমের দাম কেমন?

সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও নতুন করে তেমন বাড়েনি মাছ মাংসের দাম। একনজরে দেখে নেওয়া যাক শহর কলকাতার বিভিন্ন বাজারে কী দামে বিকোচ্ছে মাছ, মাংস।

মাছ                  দাম(কেজি প্রতি)
রুই (কাটা)         ৩৫০-৪০০
রুই (গোটা)        ২২০-২৫০
কাতলা              ৪৫০-৫০০
পমফ্রেট            ৪৫০-৬০০
ইলিশ                ৮০০-১২০০
চিকেন              ১৮০-২০০
মটন                 ৬৫০-৭০০

তবে ডিমের দাম অবশ্য বেড়েছে। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ৭২ থেকে ৭৮ টাকায়।

পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ পেঁয়াজ মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়। ফলে সেখানে দাম বাড়লে এই রাজ্যে তার প্রভাব পড়ছে বলে বাজারের বিক্রেতাদের দাবি। কিন্তু লাল ফসল সেঞ্চুরি করায় মধ্যবিত্তের হেঁসেলে টান পড়েছে। লেক মার্কেট, চারু মার্কেট, বালিগঞ্জ মার্কেট, মানিকতলা বাজার—সর্বত্রই এই দাম যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Durga Puja 2020: কলাবউ বলে ডাকলেও তিনি গণেশের স্ত্রী নন, তা হলে এই পুজোর তাৎপর্য কী ?

দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রতিবছর এই সময় বাজারে সবজির দাম একটু চড়া থাকে। কিন্তু এবছর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হল, গ্রীষ্মের সবজি এই সময় প্রায় শেষ হয়ে যায়, ঢুকতে শুরু করে শীতের সবজি। কিন্তু এবছর সমস্ত সবজিরই বেশ অভাব। যার জেরে বাড়ছে দাম। তাছাড়া ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে সবজি আনতে হচ্ছে গাড়িতে। তার জেরেও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া পোঁয়াজ ও ডিমের দাম বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ ভারতের বন্যা পরিস্থিতিকেও দায়ী করছেন অনেক ব্যবসায়ী।

এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন নভেম্বর নাসিকে এক দফা পেঁয়াজ ওঠে। সেটা যদি চাষি ঠিক মতো তুলতে পারেন তবে কমতে পারে পেঁয়াজের দাম। পাশাপাশি ডিমের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে, ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে ডিমের চাহিদার চেয়ে যোগানে ৩০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। এর কারণ হিসেবে কমিটি জানাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির প্রথম দিকে গুজব রটে যায় যে মুরগি থেকে কোভিড ছড়ায়। যার জেরে উৎপাদন ধাক্কা খায়। পরে প্রমাণিত হয় যে সেই তথ্য ভুল ছিল। তবে ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মূলত সরবরাহের অভাবের জন্যই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানাচ্ছে কমিটি। পরিস্থিত স্বাভাবিক হতে নভেম্বর হয়ে যাবে বলেই মনে করছে তারা।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে সুখবর! একবার উত্তীর্ণ হলেই আর দিতে হবে না TET

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest