২৫-এর রাত চমকে দিয়েছিল। কাতারে মানুষের ভিড় দেখে অশনি সংকেত শুনিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তার পর থেকে করোনা-ওমিক্রনের (Omicron Kolkata) বাড়বাড়ন্ত কল্লোলিনীর প্রতিটি ঘরে আতঙ্ক বাড়াতে শুরু করে। এই পরিস্থিতি দেখে এ বার ৩১ এবং ১ জানুয়ারি বিধিনিষেধ কঠোর করল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। যে পার্ক স্ট্রিট দিন পাঁচেক আগে শুনেছিল লাখো লাখো মানুষের পদধ্বনি, আজ সেখানে হাঁটা নিষেধ।
অনেকটা পুজোর কলকাতার ঢংয়েই পার্ক স্ট্রিটকে ‘নন ওয়াকিং স্ট্রিট’ করা হল। পার্ক স্ট্রিটজুড়ে শুধুই চলবে গাড়ি। তবে ফুটপাথেও যে অবাধ বিচরণ করা যাবে তা নয়। পার্ক স্ট্রিটের ভিড় নিয়ন্ত্রণে অভিনব কৌশল নিল কলকাতা পুলিশ। গার্ডরেল দিয়ে এমনভাবে পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাথকে ‘নাকাবন্দি’ করা হয়েছে যে পায়ে হেঁটে অবাধ ঘোরাঘুরির তেমন কোনও সুযোগই নেই। কোনও রেস্তরাঁতে যদি কেউ ঢোকেন তাহলে সেখান থেকেই তাঁকে গাড়ি ধরে পার্ক স্ট্রিট ছাড়তে হবে। কৌশলে গার্ডরেল দিয়ে এমনই জ্যামিতি বানিয়ে ফেলেছে পুলিশ। তবে পথচারীদের ভিড়ে লাগাম পরালেও যানচলাচলে কোনও বাধা নেই। আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতোই ওয়ান ওয়ে নিয়ম মেনে গাড়ি চলবে পার্ক স্ট্রিটে।
আরও পড়ুন: বড়দিনে রাতভর ‘জনপ্লাবন’ পার্কস্ট্রিটে, ভাইরাল ভিড়ের ছবি
শুক্রবার বেলা গড়াতেই পার্ক স্ট্রিটজুড়ে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির ছবি ধরা পড়ল। ঘনঘন মাইকিং চলছে পুলিশের তরফে। পার্ক স্ট্রিটে যাতে কেউ ভিড় না করে তার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। জটলা করা বারণ, তা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চলছে পার্ক স্ট্রিটে। মজুত রয়েছে ৩০০০ পুলিশ, দু’টি কুইক রেসপন্স টিম। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকিতে নিযুক্ত ৮জন ডিসি।
দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, “পার্ক স্ট্রিটে কোভিডবিধি মানার ব্যাপারে খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কলকাতার মানুষ পুলিশকে সবসময় সহযোগিতা করেন। মাইকে সারাক্ষণ প্রচার করা হচ্ছে যাতে প্রত্যেকে মাস্ক পরেন ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখেন। যদি কেউ মাস্ক না পরেন তাঁকে মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। অথবা কারও কাছে না থাকলে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। তারপরেও যদি কেউ কথা না শোনেন তার বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।”
আরও পড়ুন: কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, এসটিএফে জ্ঞানবন্ত