Site icon The News Nest

শপথ নিয়েই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী, পরিদর্শন করলেন একাধিক হাসপাতাল

mamta hospital

প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই রাজ্যের স্বাস্থ্যভার তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে।বুধবার কলকাতার বুকে ফিরল ২০১১ সালের স্মৃতি। বিভিন্ন হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। হাসপাতালগুলিতে রোগীরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা কালে ফের দেখা গেল একই দৃশ্য। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই শহরের একাধিক হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরলেন তিনি। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল এবং পুলিশ হাসপাতালে যান তিনি।

আরও পড়ুন : ভোটে হেরে ‘দলবিরোধী মন্তব্য’, তন্ময় ভট্টাচার্যকে শোকজ করল ‘শূন্য হওয়া’ সিপিএম

ঘড়ির কাঁটায় ১০.৪৫ মিনিটে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। আর তারপর থেকেই কোভিড মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের পরই রাজ্যবাসীর জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেন তিনি। বিভিন্ন পরিষেবায় লাগাম টানা হয়। জানানো হয়, সংক্রমণ ঠেকাতে ৬ মে থেকে বন্ধ সমস্ত লোকাল ট্রেনও। সাংবাদিক বৈঠক শেষ করেই হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

প্রথমেই যান ভবানীপুরের শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। কীভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে সেখানে, তা খতিয়ে দেখেন। একইসঙ্গে শুনলেন মানুষের অভিযোগও। করোনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট হাতে পেতে অন্তত তিনদিন সময় লাগছে। সেই রিপোর্ট আরও যাতে দ্রুত দেওয়া সম্ভব হয়, অন্তত কোনও ব্যক্তি পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ কি না, সেটুকু তথ্য দ্রুত জানিয়ে দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই যান পুলিশ হাসপাতালে। করোনা কালে চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তা-ই নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ মমতার।

শহর এবং জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য বেডের অভাবের অভিযোগ উঠেছে বারবার। পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিন্ডারের হাহাকারের ছবিও উঠে এসেছে। চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে নিশ্চিত করেন মমতা। শহরের স্টেডিয়ামগুলিকেও কোভিড মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আফগানিস্তান থেকে ফিরছে দাম্ভিক মার্কিন সেনা

Exit mobile version