পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি দল গড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সেই দলের সদস্যরা পৌঁছে গিয়েছেন নবান্নে। অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের অফিসার ওই দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাও তাঁরা ঘুরে দেখবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নবনির্বাচিত সরকারকে বুধবার কড়া সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানে রাজ্যকে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট না পাঠালে বিষয়টি গুরুতর ভাবে দেখা হবে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার একটি টুইটও করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানে নির্বাচনোত্তর পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের কর্মীরা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার দিনই রাজ্যে হিংসা এবং রক্তপাত থামানোর দাবিতে ধর্নায় বসেছিল রাজ্য বিজেপি। সেই ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তার পরই তদন্তের জন্য দল গড়ল অমিত শাহের মন্ত্রক।
Taking a serious view on post-poll violence in #WestBengal, the Ministry of Home Affairs has deputed a 4-member team, led by an Additional Secretary level official to visit the State and assess the ground situation. A team would reach the State today
— ANI (@ANI) May 6, 2021
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে ফের ফিরহাদ হাকিম
জানা গিয়েছে, এনিয়ে খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই পালটা চিঠি দেবে নবান্ন। জানানো হবে যে হিংসার যখন ঘটনা ঘটছিল, তখন ক্ষমতায় আসেনি নয়া সরকার। নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছিল রাজ্যের প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা। তার ফলে নয়া সরকারের শুরুতেই কেন্দ্র-রাজ্যের তরজা চরমে উঠবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
গত রবিবার রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিআইএম মিলিয়ে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক ভুয়ো ছবি ও ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বিজেপি আক্রান্ত বলে। যদিও পরে ফ্যাক্ট চেকে সত্যিটা বেরিয়ে আসছে। দেখা যাচ্ছে কোনো ছবি বাংলাদেশের, কোনোটি বা উড়িষ্যার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই খবর গুলি ছড়ানো হচ্ছে বিজেপি আক্রান্ত বলে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের উচিত ফেক নিউজ চরণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া। যদিও তা করলে অন্য দলের সঙ্গে বিজেপির আর পার্থক্য থাকবে কই! ‘বিদ্বেষ ব্যাপারীর ‘ তকমা ঝরে গেলে নিজের জাত খোয়াবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: মমতার শপথের পরই অশান্তি নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা ধনকড়ের, ‘কুরুচিপূর্ণ আচরণ’, বলল তৃণমূল