Site icon The News Nest

বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত তৃণমূলে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলে বিঁধলেন মোদীর দলকে

yaswant tmc

দল গড়ে নয় , বিজেপি লড়তে চাইছে দল ভেঙে। বাংলায় তার দলের আদি নেতারা প্রায় কোনঠাসা। দুর্নীতির ফুটেজ খাওয়া নেতারা মাতামাতি করছেন। সংগঠন মজবুত না করে, ভোট এলেই অন্য দল ভাঙার ‘কলির কৌটিল্য’ নীতি নিয়েছে মোদীর দল। ভোটের আগে জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার হাত ধরে এ বার তার উলট পুরাণ ঘটল বাংলায়।

বিজেপি ছাড়ার তিন বছরের মাথায় তৃণমূলে যোগ দিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী। শনিবার তৃণমূল ভবনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁকে দলে স্বাগত জানান। সুব্রত জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে যশবন্তকে দলে স্বাগত জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি তিনি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে যশবন্ত তৃণমূলকে আরও সমৃদ্ধই করলেন।

আরও পড়ুন:সকাল থেকেই মুখ ভার শহরের, ফাগুনের শেষ বেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ‘স্বেচ্ছাচার’ মেনে নিতে না পেরেই ২০৮-য় বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন যশবন্ত। শনিবার তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকার স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছে। এদের বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই। দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সমস্ত প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র বজায় রাখতেই একজোট হওয়া প্রয়োজন।’’

অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকারের আমলে যে বিজেপি ছিল, আজকের বিজেপি তার চেয়ে অনেক আলাদা, অনেক বেশি ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলেও মন্তব্য করেন যশবন্ত। সেই সময় বাজপেয়ী সরকারের অংশ ছিলেন মমতাও। সেই প্রসঙ্গ টেনে যশবন্ত বলেন, ‘‘অটলজির সময়কার বিজেপি-র থেকে এখনকার বিজেপি অনেক আলাদা। এখন বিজেপি বাকিদেল পদানত করতে চায়। যে কারমে শিবসেনা, অকালি দলের মতো শরিকরা ছেড়ে চলে গিয়েছে। রুরনোদের মধ্যে একমাত্র নীতীশ কুমারই রয়েছেন। মমতাজি আর আমি দু’জনেই অটলজির সংসারে ছিলাম। কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের সময় নিজেকেই পণবন্দী করতে চেয়েছিলেন মমতা।’’

১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যশবন্ত, বরাবরই গেরুয়া শিবিরের অংশ ছিলেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের হাতে দলের রাশ ওঠার পর থেকেই, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। মোদী-শাহের হাতে বিজেপি-র চিন্তা-ভাবনা গণতন্ত্র বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে একাধিক বার অভিযোগ করেন তিনি। মোদী-শাহের হাতে পড়ে দল শুধু মাত্র দুই-ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

আরও পড়ুন: কত দিন অন্তর কাচবেন আপনার সাধের ডেনিমের প্যান্ট?

 

Exit mobile version