আতসবাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার বাইরে কোনও মন্তব্য করবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়, এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিম্নতর আদালতের মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই। ফলে কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোয় কোনও বাধা রইল না।
বাজি মামলায় বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন বা পেসো দ্বারা স্বীকৃত বাজি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করা যাবে না। পরিবেশবান্ধব বাজি যাতে বিক্রি হয় সেদিকে নজর দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা বাজি ফাটানো হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তার ফলে বাতাস কতটা দূষিত হল, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে হলফনামা জমা দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব বাজি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করবেন না বলে হাই কোর্টে মুচলেকা দেন ব্যবসায়ীরা।
করোনা পরিস্থিতিতে বাজি ফাটানো বন্ধের আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রোশনি আলি। সেই মামলার শুনানিতে দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে রাজ্যে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে বাজি ফাটালে করোনা রোগী এবং করোনাজয়ীদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ব্যবসায়িক স্বার্থ মানুষের জীবনের থেকে বড় হতে পারে না।
তবে রাজ্যের ৩৩ লক্ষ বাজি ব্যবসায়ী কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। ওই মামলার শুনানিতে শর্তসাপেক্ষে বাজি ফাটানোর রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নজর রাখতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই রায়ের পর বেআইনি বাজি বন্ধের আরজি নিয়ে বুধবার ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্ট।