Site icon The News Nest

HS ফেল! ‘ক্ষোভ মিটে যাবে’, আশ্বাস ব্রাত্যর, সংসদে অভিযোগ জানাতে হবে ৭ দিনের মধ্যে

bratya

অপ্রত্যাশিত ফল। পরীক্ষা না হওয়ার পরও পাশ করানো হয়নি। মার্কশিট হাতে পাওয়ার পর উৎকণ্ঠায় পরীক্ষার্থীরা। কেন ফেল? কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না ওদের। প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল শিলিগুড়ির ছাত্রীরাও। উচ্চমাধ্যমিকে পাশ না করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ সারদামণি বিদ্যাপিঠের ছাত্রীদের প্রতিবাদে দেখা গেল উত্তেজনা। শনিবার এই স্কুলের ১০৩ জন উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ছিল। যার মধ্যে ১৪ জন ফেল করেছে। কেন ফেল? পরীক্ষাই যেখানে হল না, সেখানে অনুর্ত্তীর্ণ কেন? প্রশ্ন পড়ুয়াদের অনেকেরই।

আরও পড়ুন : বন্দুক সঙ্গে নিয়ে সেলফি! গুলিতে উড়ে গেল তরুণীর মাথা, খুনের অভিযোগ বাবার

এই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের জেরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হল, রেজাল্ট নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য সাতদিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সংসদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে সাতদিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপযুক্ত নথি-সহ আবেদন জানাতে হবে। সেই অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সংসদ। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, রবিবার এবং ছুটির দিনও দুপুর একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেই অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকছে।

উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর থেকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে জেলায় জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পরীক্ষা না হওয়া সত্ত্বেও অকৃতকার্য হওয়ার জেরে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের বাঁধ ভেঙেছে। এই অবস্থায় শনিবার বিকেলেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল, ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে যদি কোনও ত্রুটি থেকে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। মূলত যে সমস্ত স্কুলে সমস্যা হচ্ছে, সেগুলির প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।এ দিন তিনি বলেন, “বিক্ষোভ যদি ন্যায়সঙ্গত হয়, তবে সেই স্কুলকে সংসদে অভিযোগ পাঠাতে বলা হয়েছে। ক্ষোভ মিটে যাবে।”

জেলা হোক বা শহর কলকাতা, ছোট ছেলেমেয়েদের আন্দোলনে যে রাজ্য প্রশাসন স্বস্তিতে নেই তা একেবারে স্পষ্ট। যে কারণে শনিবার বিকেলেই নবান্নে ডেকে পাঠানো হয় সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। অকৃতকার্য পড়ুয়াদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করতে বলা হয় সংসদ সভাপতিকে। সরকার জানিয়ে দেয়, যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা সংসদকেই মেটাতে হবে। সরকার এতে হস্তক্ষেপ করবে না। রাজ্য মহুয়া দাসের উপর খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বলেও খবর নবান্ন সূত্রে।

একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, পড়ুয়া বিক্ষোভ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে যে স্কুলে অসফল পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেই সমস্ত বিক্ষোভের বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা সংসদ সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।

সন্ধ্যায় আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল সংক্রান্ত যদি কোনও অভিযোগ থাকে তবে প্রধান শিক্ষকদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংসদে সেই নথি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সমস্ত অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সংদসের পক্ষ থেকে। রবিবার বা ছুটির দিনেও অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকছে।

আরও পড়ুন : ‘মোদির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে চাই’, জানালেন TMC’র রাজ্যসভার প্রার্থী Jawhar Sircar

Exit mobile version