আগামী দু-তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast) । সঙ্গে বজ্রপাতেরও সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। আরেকটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সিকিম-উত্তরবঙ্গ থেকে ছত্রিশগড় পর্যন্ত রয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়।
মৌসম বিভাগের খবর অনুযায়ী,এদিন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, কর্ণাটকের উপকূলবর্তী এলাকা এবং ছত্তীসগঢ়, বিদর্ভ, গোয়া, কোঙ্কন, ওডিশা ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি হবে। পাশাপশি ১১ জুন থেকে বঙ্গোপসাগরের খাঁড়ির উত্তরদিকে তৈরি হবে নিম্নচাপ। যার জেরে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), ওডিশা, বিহার ও ঝাড়খন্ডে ২ দিন বৃষ্টিপাত ঘটাবে বলেও জানাচ্ছে মৌসম বিভাগ।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই ২০ হাজার লোক নিয়ে বিজয় উৎসবের ডাক মদন মিত্রর!
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১১ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে। ১১ তারিখ থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতায়। উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। এদিন শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মোটামুটি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম।
ইয়াসের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। উপকূলবর্তী এলাকার বহু মানুষ এখনও গৃহহীন। তাঁদের অবস্থা পরিদর্শনে এই মুহূর্তে বাংলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসন ছাড়াও সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ এগিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে বর্ষা ঢুকে পড়ায় বিপদ বাড়বে বই কমবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৬ দিন পর রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১০০-র নীচে, অ্যাক্টিভ কেস ২০ হাজারের কম