দলবদলে সামিল হলেন ৯০ বছরের মাস্টারমশাইও। সিঙ্গুরের ৪ বারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মাস্টারমশাই নামেই পরিচিত। ২০০১, ২০০৬, ২০১১ এবং ২০১৬ – পরপর ৪ বার তৃণমূলের টিকিটে সিঙ্গুর থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু এ বার প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান বয়সের কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেই ক্ষোভ দলবদলে পরিণত হল।
সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ-সহ মোট ৪ জন তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে যোগ দেন। সেই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, হাওড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি।
সেই সঙ্গে সোমবার বিজেপি-তে যোগ দেন মালদহের সরলা মুর্মু। প্রসঙ্গত তৃণমূল সরলাকে মালদহের হবিবপুরে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তারপরেই আসন পছন্দ না হওয়ায় বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। সেটা জেনেই সোমবার তাঁকে সরিয়ে হবিবপুরে প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সরলাকে সরানোর কারণ হিসাবে তাঁর ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কারণ দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ফেরত ‘চোরেদের’ সঙ্গে নিয়ে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন ফেরি মোদীর
সরলা মালদহ জেলা পরিষদেরও সদস্য। সোমবার সরলা ছাড়াও আরও ১৪ জন মালদহ জেলাপরিষদ তৃণমূলের সদস্য বিজেপি-তে এলেন। তার মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। এর ফলে সংখ্যার হিসেবে মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সোমবার সকলের হাতে বিজেপি-র পতাকা তুলে দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যোগদান পর্বের পরে দিলীপ বলেন, ‘‘এঁর সকলেই রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’’ যোগদান পর্বে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ‘গোখরো আমি দাবি মিঠুনের, দুষ্টজন বলছে,’সাপ বটে তবে ঢ্যামনা’ !