দশ লক্ষ মানুষকে মাঠে এনে ঐতিহাসিক সমাবেশ করাই লক্ষ্য বামেদের। পাহাড় থেকে সাগর, সব জেলার সব বুথ থেকে লোক চাইছন মরিয়া বামেরা। কিন্তু লোক আনলেই তো হল না। তাদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্তও করতে হবে। কী খাওয়াবেন বামেরা? ‘ডিম-ভাত ? না, বামেরা চাইছেন মেহনতি মানুষের মুখে রুটি-আলুর দম তুলে দিতে।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে, পার্ক সার্কাস ময়দানে যৌথ সভা করেছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে, রবিবার প্রথম বাম-কংগ্রেসের যৌথ সমাবেশের সাক্ষী থাকতে চলেছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শন করছেন বাম-কংগ্রেসের নেতারা।
ভিক্টোরিয়ার দিকে, তৈরি হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট, প্রস্থ ২৪ ফুট,উচ্চতা ১৮ ফুট।ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্তরের জেলা থেকে আসতে শুরু করছেন কর্মী-সমর্থকরা। আজ শনিবার দুপুরে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শনে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বিমান বসু বলেন, এবারের ব্রিগেডে নতুন মাত্রা যোগ হল। তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী অনেকগুলি শক্তি একসঙ্গে আসছে।তাঁদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে দুটি শিবির।
কংগ্রেসর তরফে ইতিমধ্যেই হাওড়া, মধ্য কলকাতার বেশ কিছু ধর্মশালা, হোটেল বুক করা হয়েছে। বুক করা হয়েছে বহু কমিউনিটি সেন্টার। বহু মানুষ আজই কলকাতা পৌঁছে যাবেন। সিপিএম-এর কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল লাহিড়ি বললেন, ব্রিগেডের মাঠে কিছু ক্যাম্প করে তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Bengal Election Date 2021: দফাওয়ারি কোন আসনে কবে ভোট, দেখে নেওয়া যাক…
দূরদূরান্ত থেকে আসা এই সমর্থকদের জন্য অন্তত তিনবেলার খাদ্যের বন্দোবস্ত করতে হবে। এছাড়া রবিবার সকাল থেকে মাঠ ভরাবেন যারা, সেই সমর্থকদেরও দিতে হবে টিফিন, দুপুরের খাবার। কী ভাবে তৈরি হবে এত খাবার? কল্লোল মজুমদার বললেন, “কোনও এক জায়গায় খাবার তৈরি হবে না। আমরা সমস্ত এরিয়া কমিটিগুলিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে বলেছি। খাবার হিসেবে থাকবে রুটি সবজির প্যাকেট। সমর্থকদের ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে এই খাবার।”
এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন জেলায় জেলায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে শুকনো খাবার সংগ্রহও করছেন কর্মীর। ব্রিগেডে আসবে মানুষের পাঠানো মুড়ি, চানাচুরও, লাড্ডুও।
আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছল রাজ্য বিজেপির তৈরি ১৩০ আসনের প্রার্থী তালিকা, একই কেন্দ্রের জন্য একাধিক নাম