পশ্চিমবঙ্গে থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে সমর্থন কেন? ফের বিতর্কিত ট্যুইট তথাগত রায়ের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: ধুমধাম করে চলছে ইস্টবেঙ্গলের শতবার্ষিকী উদযাপন। আগামী পরশুদিন ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস।এরই মধ্যে ফের বিতর্কিত টুইট করে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় লিখলেন, ‘‌ইস্টবেঙ্গল অ্যাথলেটিক ক্লাব (‌মূলত ফুটবল)‌ ক্লাব। এই ক্লাবের কর্মকর্তা থেকে সমর্থকরা কেন পশ্চিমবঙ্গে থেকে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করছেন?‌’‌ মানে সোজা কথায় তিনি বোঝাতে চাইছেন লাল–হলুদ সমর্থকরা বাংলায় না থেকে বাংলাদেশ চলে যান। এই টুইটের পর বিতর্ক তীব্র হয়েছে।

এর আগে বাঙালি মেয়েদের বার ডান্সার বলে অপমান করেছিলেন তথাগত। সেবার টুইট করে বলেছিলেন, ‘‌বাংলার মেয়েরা মুম্বইয়ে গিয়ে বার ডান্সারের কাজ করছে। আর ছেলেরা সাফাইকর্মী হচ্ছে। তাহলে হিন্দিতে কথা বলতে আপত্তি কেন?‌’‌  দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, গণপিটুনি ও হত্যা ক্রমাগত বেড়ে চলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বুদ্ধিজীবীদের চিঠি লেখা নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তথাগত রায় ৷ তাঁর দাবি ছিল, বুদ্ধিজীবীদের এমন চিঠি লেখার পিছনে রয়েছে রাজনীতি। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, আল্লাহ ধ্বনি তুলে দেশে দশ লক্ষ গুণ খুন ধর্ষণ হয়েছে। আমরা তার সাক্ষী। এমনিতে টুইটে বিতর্ক তৈরি করা এক রকমের অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন তথাগত রায়। এ বার তাতে নতুন সংযোজন ইস্টবেঙ্গল।তবে টুইটের শুরুতে তিনি একটি ভুল করে ফেলেছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নামটাই ভুল লিখেছেন। কোন যুক্তিতে তিনি ইস্টবেঙ্গল নামের পাশে অ্যাথলেটিক ক্লাব জুড়লেন তা বোধগম্য হচ্ছে না বাংলার ক্রীড়ামহলের।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফেও এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এরপরেই ঢোক গিলেছেন তথাগত। সন্ধ্যের পর আবারও টুইট করে তিনি লিখেছেন, আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, আমরা ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। কিন্তু সমর্থন করতে বসলেই আমাদের ভুলে যাওয়া ওপার বাংলার শিকড়ের কথা মনে পড়ে যায়। তাই বলেছিলাম এ কথা।

ততক্ষণে যা হাওয়ার হয়ে গিয়েছে। বর্ষীয়ান তথাগতর টুইট নিয়ে কার্যত ফুঁসছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। বইছে নিন্দের ঝড়। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একটা অংশ পরিকল্পনা নিচ্ছে, ১ অগস্টের অনুষ্ঠানের আগে তথাগত রায়ের কুশপুতুল পোড়ানোর।ইস্টবেঙ্গল সমর্থক তথা ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যাপক হিন্দোল পালিত বলেন, “উনি একটি রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু ওই রকম একটি পদে থেকে এই রকম অবিবেচকের মতো মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “তথাগতবাবু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তৈরির ইতিহাস জানেন না। আবেগ জানেন না। বলতে হয় বলে দিয়েছেন। তবে জেনে রাখুন, যতদিন ভারতবর্ষের ফুটবল থাকবে, ততদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থাকবে। লাল-হলুদ রঙ থাকবে।”

১৯২০ সালে জোড়াবাগান ক্লাব ভেঙে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্ম। কথিত আছে, তখন অবিভক্ত দেশ হলেও ওপার বাংলার লোক হওয়ার কারণে বেশকিছু ফুটবলারকে গঞ্জনা সইতে হচ্ছিল। কার্যত জোড়াবাগানের তৎকালীন কর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেই নতুন ক্লাবের জন্ম দেন সুরেশ চৌধুরী, মন্মথনাথ রায়রা। ঠিক হয় ক্লাবের নাম হবে ইস্টবেঙ্গল। তারপর দেশ ভাগের পর ছিন্নমূলবাঙালির আশ্রয় হয়ে ওঠে এই ক্লাব। রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু  ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দ্য ওয়াল –এর বিশেষ সিরিজ ‘আমাগো ১০০’তে লিখেছেন, হিন্দু বাঙালরা যে সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠল না, তার একটা বড় কারণ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উপস্থিতি।

 

 

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest