কলকাতা পুরভোটে বিজেপি’র হয়ে রাসবিহারী বিধানসভা এলাকার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন গৌরাঙ্গ সরকার। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এই প্রথম লড়ছেন ভোটে। অন্যদিকে স্ত্রী লোপিতা সরকার আবার তৃণমূল সমর্থক। এলাকার তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার তো করছেনই। সঙ্গে বলছেন, ‘বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।’
দলের রাসবিহারী ১ নম্বর মণ্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ সরকার সকাল থেকে রাত এক করে ভোটের ময়দানে পড়ে রয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী সম্পূর্ণ বিপরীত দুই মেরুর রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। তবু, দাম্পত্য সম্পর্কে কোনও চিড় ধরেনি সরকার পরিবারে। ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সকলের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। কে কোন দলকে সমর্থন করবেন তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। লপিতার মনে হয়েছে, তাই ও তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছে। এতে আমার কোনও আপত্তি নেই।’
লপিতা জানান, তাঁর ছেলে, বউমা সকলেই তৃণমূল করে। স্বামী বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। ছেলেও বাবার সিদ্ধান্তে মর্মাহত। লপিতা এর আগে কখনও সক্রিয় রাজনীতি করেননি। কোনওদিন তৃণমূলের ঝাণ্ডাও ধরেননি। তবে, বরাবরই লপিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক। বিধানসভা ভোটের সময়ও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতার সমর্থনে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী জানান, ভোট পর্যন্ত তিনি বিজেপির বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন। তাঁর দাবি, এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জিতবেন। গোহারা হারবেন তাঁর স্বামী।
লোপিতাদেবী বলছেন, ‘আমি বিজেপি বিরোধী। বিজেপি বিপজ্জনক রাজনৈতিক দল। দেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দিচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি চালাচ্ছে। আমি বরাবর তৃণমূল সমর্থক। ফেসবুকেও তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছি। কাজেই বাড়িতে আমার অবস্থানটা স্পষ্ট করা দরকার। সেটাই করেছি। তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছি।’