জয়ী BJP প্রার্থীরাও যোগাযোগ করছেন, গেরুয়া-ঘরে আতঙ্ক ধরালেন অভিষেক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। ২১৩টি আসন নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই উলটো সুর তৃণমূল ত্যাগীদের অনেকের গলাতেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ক্ষমা চেয়ে ঘাসফুল শিবিরে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন ভোটের আগে দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, শুধু দলত্যাগীরাই নন, নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থীরাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

আরও পড়ুন : ৩৫ হাজার মানুষের বাসযোগ্য কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে ডেনমার্ক

তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর সোমবারই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেখানেই তিনি বলেন, “শুধু দলত্যাগীরা কেন, বিজেপিতে জেতা বিধায়করাও যোগাযোগ করেছেন। শনিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ছেড়েছেন প্রত্যেকে।

পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর দলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হবে।” অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতার ফেরার পর একাধিক বিজেপি বিধায়কও যে তৃণমূলে যোগ দিতে পা বাড়াচ্ছেন, সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন অভিষেক। সুকৌশলে বুঝিয়ে দিলেন, আগামিদিনে বঙ্গে বিজেপি আরও কোণঠাসা হতে চলেছে।

শাসক শিবিরের যেসব নেতা ভোটের আগে টিকিট বা পদ না পেয়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন ফিরতে চাইছেন। সম্প্রতি যেমন মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহ ফিরে পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা চিঠি লিখেছিলেন একুশের নির্বাচনের আগে দলত্যাগী সোনালী গুহ। পদ্মশিবিরের মোহভঙ্গ হওয়ায় দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মালদহের সরলা মুর্মু এবং উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্যও। দিনকয়েক আগেই সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। ‘বেসুরো’ দলত্যাগী সৌমিত্র খাঁও।

উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে দলে ফিরতে উদ্যোগীদের নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি বলেন, “ফিরহাদ শনিবার বলেন, “এটা দলের ব্যাপার। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমাদের সবাইকে মানতে হবে। তবে যাঁরা ভুল করেছেন বা যাঁরা অনুতপ্ত, তাঁদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলেই আমার মনে হয়। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।” এবার দেখার নিজের পুরনো সৈনিকদের নিয়ে এবং বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন : WB Board Exam Cancelled: বাতিল এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest