প্রথম থেকেই বিতর্ক মুকুল রায়ের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে। পিএসির প্রথম বৈঠকেই এলেন না মুকুল। মুকুলের নেতৃত্বে বৈঠক করবেন না বলে যোগ দেননি বিজেপি বিধায়করাও। কাজেই প্রথম বৈঠক কার্যত ভন্ডুল হয়ে গিয়েছে পিএসির। বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকেই আবার পিএসির চেয়ারম্যান নির্বািচত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে প্রবল অশান্তি তৈরি হয়েছিল।
পিএসি প্রথম বৈঠকে মুকুল রায় না থাকলে যে উত্তাপ বিধানসভার অন্দরে তৈরি হয়েছিল তা স্তিমিত হয়ে গেল। আর বিজেপি এই বৈঠক বয়কট করায় শুভেন্দু–মুকুলের মুখোমুখি সাক্ষাৎ অধরা থেকে গেল। এখন দেখার পরের পদক্ষেপ কি হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মুকুল রায় নয়াদিল্লিতেই ছিলেন। আজ বিকেলে কলকাতায় পৌঁছতে পারেন মুকুল রায়। সেক্ষেত্রে বৈঠকের সময়সীমা পেরিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : জলের নিচে গোটা কলকাতা! নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে ভাসছে গোটা বাংলা
বিধানসভা সূত্রে খবর, চেয়ারম্যান ছাড়াও বৈঠক সম্ভব। পরিস্থিতি সাপেক্ষে একজনকে কার্যকরী চেয়ারম্যান করা হবে। কমিটিতে থাকা বর্ষীয়ান বিধায়ককেই এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। মুকুলকে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে বৈঠক বয়কট করেছে বিজেপি। সুতরাং প্রথম বৈঠক ঢিমেতালেই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। প্রশ্ন উঠছে, প্রথম বৈঠক জেনেও কেন নয়াদিল্লিতে থেকে গেলেন মুকুল? নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
সূত্রের খবর, আজ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের ঘরে দ্বিতীয় শুনানি রয়েছে। বিজেপি এই ইস্যুতে হেস্তনেস্ত চাইছে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের অবস্থানও বুঝে নিতে চাইছে বিজেপি। তারপরই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে শুভেন্দু–সহ পরিষদীয় দল। এই কারণেই কি মুকুল রায় বিধানসভা এড়িয়ে গেলেন? এই প্রশ্নও উঠেছে।
আরও পড়ুন : Tokyo 2020: চতুর্থ বাছাই জাপানি প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে সিন্ধ