একুশের লক্ষ্যে সাংগঠনিক রদবদল করে তাক লাগিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বহু তাবড় নেতার ডানা ছাঁটার পাশাপাশি নতুন মুখকে রাজ্য কোর কমিটি ও রাজ্য কমিটিতে এনেছিলেন মমতা। বড় উদাহরণ রাজ্য কমিটিতে প্রবেশ প্রাক্তন মাও নেতা ছত্রধর মাহাতো এবং সম্পাদক পদে বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্রদের নাম ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে এই মুখপাত্রদের তালিকা প্রকাশ করেছে দল। জাতীয় স্তরে ১২ জনের নাম রয়েছে তালিকায় এবং রাজ্য স্তরে রয়েছে ২২ জনের নাম। জাতীয় স্তরে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ডেরেক ওব্রায়েন, অমিত মিত্র, দীনেশ ত্রিবেদী রয়েছেন । রাজ্য স্তরে উল্লেখযোগ্যদের মধ্য রয়েছেন কুণাল ঘোষ। সাংসদ নুসরত জাহান রুহিও (Nusrat Jahan) মুখপাত্র হলেন দলের ।
আরও পড়ুন : ফের পর্দায় পছন্দের সাহিত্য! শুরু হল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’
২০১৩ সালে জুলাই মাসেই ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন কুণাল। আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবর্তন সাত বছর পর। আগেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছিল। এবার দলে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেলেন তিনি। সাসপেনশন ওঠার পর থেকে দলের নানা কর্মসূচিতে এক বছর আগে থেকেই থাকছিলেন। শ্যামবাজারে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা কর্মসূচিতেও ছিলেন কুণাল।
ছক ভেঙে একেবারে চমক দিয়েছেন মমতা। গোটা টিমটা তিনি অন্যভাবে সাজালেন। কাজটা করলেন একটু আগে ভাগেই। যাতে কোনো সমস্যা তৈরী হলে সামাল দেওয়া যায়। সারদায় অভিযুক্ত কুনাল যেমন ঘাসফুলে, তেমনই সারদা-নারদে অভিযুক্ত মুকুল রায় বিজেপিতে। খেলা কর্মে জমে ক্ষির হতে চলেছে। বিজেপি ঢিল ছুড়লে তৃণমূল যে পাটকেল ছুড়বে সেটা স্পষ্ট। ছত্রধর ও ঋতব্রতকেও জায়গা দিয়েছেন মমতা। এবার পারফরম্যান্সের পালা। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন মমতার রাজনৈতিক গেমপ্ল্যান এখনও বেশ পাকা-পোক্ত।
এবারের লড়াই মূলত দুই ফুলের। অনন্ত গত লোকসভা মোতাবেক। সিপিএম এবং কংগ্রেসের আদৌ কোনো ভূমিকা থাকবে কিনা তা এখনও ঝাপসা। কংগ্রেস বহু দিন ধরে কিছু ফ্ল্যাগ ভোট পায়। এবার বোধয় সিপিএমকেও ফ্ল্যাগ ভোটেই তুষ্ট থাকতে হবে। যদি না তারা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। পুরোনো পক্ককেশ নেতাদের কাছে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার দাবি করাটা খানিক বাড়াবাড়িই হবে !
আরও পড়ুন : জোনস পরিবারে এল নতুন সদস্য, মা হলেন ‘গেম অফ থ্রোনস’ খ্যাত সোফি টার্নার