যোগ্য নেতা পেলে বাংলায় অসম্ভব নয় বামফ্রন্টের কামব্যাক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রদীপ আচার্য

লোকসভা নিৰ্বাচনেই বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের দাপট বাড়ছে। সিপিএমের ভোটের একটা অংশ গিয়েছে তাদের ঝুলিতে। অস্বীকারের কোনও উপায় নেই। কিন্তু বাংলায় এখনও সিপিএমের ভোটব্যাংক কম নেই। এই ভোট ব্যাঙ্কটা ধরে রাখতে হবে। তার জন্য দরকার নেতৃত্বের। যার সংকটে ভুগছে সিপিএম সহ সব বামদলগুলি । এখনও হতাশ হবার মত কিছু হয়নি। ক্ষমতায় থেকে যাওয়াটা বামপন্থীদের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না।তিন দশকের বেশি সময় বাংলায় ক্ষমতায় থেকে তারা সেটা ভুলতে বসেছিল।

এখন বামপন্থীদের খুব দরকার রাজ্য, দেশ, তথা বিশ্বে । বাংলায় বহু সচেতন ভোটার তাদের রয়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব নেই। কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ। বিজেপি দিন দিন দাপট বাড়াচ্ছে। তাদের দাপট মানে মনুবাদীদের দাপট। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের প্রকাশ্য দুর্নীতির জালে হাঁসফাঁস করছে। নেত্রী স্বয়ং দলের নেতাদেরই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। ধর্মের নামে রাজনীতিতে বিদ্ধেষ চাষ করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় বামপন্থীদের খুব দরকার।

আরও পড়ুন : বরাদ্দ হল স্থায়ী কমিশন, এবার ভারতীয় সেনার উচ্চপদে বসতে পারবেন মহিলা অফিসারেরাও

কেতাবি বামপন্থী নয়। জমিনে খাটা বামনপন্থী লাগবে। মুশকিল হল বামপন্থী লিডাররা অনেক সময় বড় বেশি কেতাবি। নানা স্তরবিন্যাসে বিশ্বাসী। সেখানেও অন্যরকম একটা কৌলিন্য বিচার চলে। সেসব করার সময় এখন নেই। এখন একদল তরুণ লাগবে। একদিকে তারা সোশ্যাল সাইটে থাকবে। অন্যদিকে দিকে মাঠে -ময়দানে। তাদের সে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। হতে পারে তারা কমিউনিজমের ব্যাকরণ তেমন বোঝে না। কিন্তু অন্যায়কে ঘৃণা করতে জানে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠাতে জানে। এই ছেলে-মেয়ে গুলোকে তুলে আনতে হবে।

বামপন্থীদের পতাকার নিচে ‘রামপন্থীরা’ লুকিয়ে থাকলে তাদের চিনে নিতে হবে। পতাকা বয়ে নিয়ে যাবার লোক দরকার। লোকাল, জোনাল , সেন্ট্রাল, পলিটব্যুরো-এসব কচকচি ছেড়ে উপযুক্ত ছেলে বাছতে হবে। কেউ সহজে মাটি ছেড়ে দেবে না। যদি মনে করেন তৃণমূলের কাছ থেকে বিজেপি ক্ষমতা কেড়ে নেবার পর আপনার বিজেপির কাছে থেকে সেই ক্ষমতা কাড়বেন, তাহলে ভুল ভাবছেন কমরেড ।

শরিকদের মধ্যে ঝামেলা থাকলে মিটিয়ে নেন। ভোটার থাকে না। তৈরী হয়। কংগ্রেসকে তাড়িয়ে বামফ্রন্ট বাংলার ক্ষমতা দখল করেছিল। সেটা ফের সম্ভব। কিন্তু যে ফরম্যাটে সিপিএম চলছে তাতে সম্ভব নয়। লবিবাজির দিন আর নেই। কেরল পারলে বাংলা পারবে না কেন। ফরম্যাট বদলাতে হবে। বহু ভোটার আছে যারা বিজেপি পন্থী নয় , কিন্তু আপনাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।

আপনাদের তৃণমূল পরাজিত করেনি, আপনার হেরেছেন নিজেদের কাছে। মাটিতে খাটা নেতারা যখন অশনি সংকেত দিয়েছিল, তখন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আপনাদের মোহগ্রস্ত করে রেখেছিল। সেসব অতীত। সব ব্যার্থতার ইতিবাচক দিক থাকে। সেটা বামপন্থীদের বুঝতে হবে। ক্ষমতায় টিকে থাকাটা বামপন্থার উদ্দেশ্য নয়। বামপন্থা করে খাবার জায়গা নয়। যদি বামপন্থার মধ্যে থেকে নীতি -নৈতিকতা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে পুঁজি সর্বস্য ডানপন্থী দলগুলির সঙ্গে তার ফারাক থেকে না। এটা বুঝতে হবে কমরেড। ওদের কাছ থেকে মানুষ যা আশা করে তা আপনাদের কাছ থেকে আসা করে না কমরেড। আপনাদের অনুরোধ আরও বেশি বামপন্থী হয়ে উঠুন। অন্যের সঙ্গে ফারাক গড়ে তুলুন।                                                                                                              অভিমত ব্যক্তিগত

আরও পড়ুন : মাস্ক না পরলে জরিমানা ১ লাখ, লকডাউন বিধি ভাঙলে জেল ২ বছরের !

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest