Site icon The News Nest

গুয়াহাটিতে চিতাবাঘকে পিটিয়ে মেরে টুকরো টুকরো করল গ্রামবাসীরা, সেলেবরা ‘স্পিকটি নট’

The News Nest: বিশ্বের সবথেকে হিংস্র প্রাণী মানুষ। তার হিংসার পিছনে বেশিরভাগ সময়েই কোনও যুক্তি থাকে না। পশু পাখিকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। কেরলে গর্ভবতী হাতিকে খুন করা হয়।

হিমাচলে খাবারের ভিতর বিস্ফোরক দিয়ে গরুর চোয়াল উড়িয়ে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের ঔরঙ্গাবাদে বাইকের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি কুকুরকে ঘষটে-ঘষটে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়। অসমের গুয়াহাটিতে চিতা বাঘকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা। শুধু পিটিয়ে মারাই নয়, রাগের বশে টুকরো টুকরো করা হল চিতাবাঘের দেহ। রবিবার সকালের এই ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

আরও পড়ুন: সোনু আসলে সেলিব্রিটি ম্যানেজার, পিছন থেকে গোটা শো চালাচ্ছে বিজেপি’, অভিযোগ শিবসেনার

 রবিবার সকালে এই ঘটনার খবর পায় স্থানীয় প্রশাসন। জানা যায়, গুয়াহাটির ফাটাসিল রিজার্ভ ফরেস্ট হিলকস এলাকায় চিতাবাঘ ধরার জন্য বে-আইনিভাবে ফাঁদ পেতেছিলেন এক স্থানীয়। সেই ফাঁদে চিতাবাঘটি পড়ে গেলে এলাকার বাসিন্দারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে নৃশংসতার নজির গড়তে এরপর মৃত বাঘটিকে স্থানীয়রা টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে।

ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। চিতাবাঘটির দেহাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।অসমের বন দপ্তর জানিয়েছে, এই নিয়ে রাজ্যে পঞ্চম চিতাবাঘের মৃত্যু হল। এর আগে উত্তর অসমের গোলাঘাট এবং জোরহাটে চারটি চিতাবাঘকে মেরে ফেলা হয়।

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে গুয়াহাটি ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের ফরেস্ট অফিসার জিতেন্দ্র কুমার বলেন, “সকালে চিতাবাঘ ধরা পড়েছে খবর পেয়েই বেড়িয়ে পড়েছিলাম, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকেও খবর দিয়েছিলাম, ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ৭.৩০ নাগাদ যখন পৌঁছই তখন চিতাবাঘটিকে ক্লান্ত দেখায়। এরপর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয়রা পরে তাকে আক্রোশের বসে পিটিয়ে মেরে ফেলে।” গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করে জিতেন্দ্র কুমার জানান, “ওঁদের অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, যাতে চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে যেতে দেয়। কিন্তু আমি এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরই স্থানীয়রা বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

গ্রামবাসীদের দাবি যে, চিতাবাঘের জেরে বাড়ির গৃহপালিত পশু, পোল্ট্রি মুরগি রাখা দায় হয়েছিল তাদের। প্রতিটা দিন তারা আতঙ্কে কাটাচ্ছিলেন। জানা যায়, চিতাবাঘটিকে মারার পর রাগের বশে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। উপড়ে ফেলা হয় চিতাবাঘের দাঁত, নখ। ঘটনার জেরে স্তম্ভিত অসমের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: অভিযুক্ত মহিলা জঙ্গি করোনা আক্রান্ত, জেরা করতে গিয়ে সংক্রমণের চাপে গোয়েন্দারা

Exit mobile version