মাতৃদুগ্ধের বিকল্প নেই। নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য যাবতীয় প্রয়োজন মায়ের দুধ থেকেই পাওয়া যায়। তাই জন্মের পরে, যত দ্রুত সম্ভব নবজাতককে মায়ের দুধ পান করানো জরুরি। শিশুর জন্মের পরে, প্রথম ঈষৎ হলুদ বর্ণের যে গাঢ় দুধ নিঃসৃত হয়, তাকে ‘কলোস্ট্রাম’ বলা হয়।
আরও পড়ুন : স্তনের নিপল কালো হলে মন খারাপ করবেন না, আছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গোলাপি করার উপায়
‘কলোস্ট্রাম’ নবজাতকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। কারণ, এতে পুষ্টিগুণ ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ‘ইমিউনোগ্লোবিউলিন’ থাকে, যা নবজাতককে ভবিষ্যতে কয়েকটি রোগ থেকেও মুক্ত রাখে। শুধু তাই নয়, মায়ের বুকের দুধ সহজপাচ্য এবং যে তাপমাত্রায় পান করানো দরকার, সেই তাপমাত্রাতেই পাওয়া যায়। এটি নিরাপদ এবং জীবাণুমুক্ত। বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের ক্ষেত্রেও সমান উপকারী।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই ব্রেস্ট ফিড পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরা ৷ দেখা যায় কখনও নিরুপায় হয়ে আবার কখনও অপুষ্টির কারণে যথাযথ দুধ উৎপাদন না হওয়ার কারণে অনেক মা বিকল্প বেছে নিতে বাধ্য হন। সেই সমস্যা দূর করতে এবার দুর্দান্ত আবিষ্কার করে ফেলেছে BIOMILQ ৷ সংস্থার পক্ষ থেকে ল্যাবেই বানিয়ে ফেলা হয়েছে সেল-কালচার্ড হিউমান মিল্ক ৷ অর্থাৎ মাতৃদুগ্ধের বিকল্পই বলা চলে এই দুধকে ৷
মায়ের দুধের গুণাগুণ সম্পন্ন দুধ এবার তৈরি হবে ল্যাবরেটারিতেই ৷ পরীক্ষাগারে তৈরি এই দুধ উপকারিতার দিক থেকে কোনও অংশেই কম নয় ৷ দাবি করা হচ্ছে, এমন কৃত্রিম উপায় তৈরি দুধ পুষ্টিগুণে নাকি মাতৃদুগ্ধ থেকেও বেশি ৷ বৈজ্ঞানিকদের আশা আগামী তিন বছরের মধ্যে এই দুধ বাজারে এসে যাবে ৷
আরও পড়ুন : স্তনের সাতপ্রকার, ঘাবড়াবেন না সবই কিন্তু স্বাভাবিক