Excessive use of lipstick changed the color of urine! Surprised doctors

Urine Colour: লিপস্টিকের অত্যধিক ব্যবহারে বদলে গেল প্রস্রাবের রং! অবাক চিকিৎসকরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সম্প্রতি এক মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন, চিন্তায় ফেলেছে কিডনি বিশেষজ্ঞদের। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিপস্টিকের অত্যধিক ব্যবহারে এক মহিলার প্রস্রাবের রং বদলে লালচে হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা সত্যিই অত্যন্ত উদ্বেগের।

জানা গিয়েছে, দিনে ২৫-৩০ বার লিপস্টিক লাগাতেন ওই মহিলা। ‘অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার’-এ ভুগতেন তিনি। সেই কারণে লিপস্টিকের প্রতি তীব্র আকর্ষণ কাজ করত তাঁর। আবার লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দিলে স্বাভাবিক প্রস্রাব হত। খুবই বিরল একটি সমস্যা। লিপস্টিক ব্যবহৃত রং খাবারের মাধ্যমে পেটে চলে যাওয়ার ফলে এমন হল, না কি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ— তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, প্রস্রাবের রং পরিবর্তনের ঘটনা এই প্রথম নয়। তবে কারণটা নতুন। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যাথিটারের ব্যবহার, বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে, কিডনির কোনও সমস্যা থাকলে এমনটা হয়। কালো, বেগুনি এমনকি প্রস্রাবের রং সবুজও হতে পারে। এই কারণগুলি ছাড়াও প্রয়োজনের অতিরিক্ত শারীরিক কসরত, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা— প্রস্রাবের বর্ণ পরিবর্তনের কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: Skincare: বিকিনি লাইনে ট্যাটু করবেন ভাবছেন? যৌনাঙ্গের কতটা ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন

অন্যদিকে,  ‘এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় লিপস্টিক ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে সন্তানের। প্রতিবেদনে বলা হয়, লিপস্টিক এবং এজাতীয় ময়েশ্চারাইজারে প্রচুর পরিমাণে ‘পিএইচথ্যালেট’ নামক এক ধরনের প্লাস্টিক রাসায়নিক রয়েছে। তাই গর্ভকালে মা লিপস্টিক বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে তার শিশুর মোটর স্কিলের (অঙ্গ সঞ্চালন) ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জুলি হার্বসম্যান বলেন,  যেসব লিপস্টিক ও ময়েশ্চারাইজারে রাসায়নিক ‘পিএইচথ্যালেট’ থাকে তা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি এ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে নীতি নির্ধারণকারী ও উৎপাদনকারী কর্তৃপক্ষকেও উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান গবেষক জুলি হার্বসম্যান।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest