সত্যি বলুন, মাঝে মাঝে মনে হয় না, যদি এমন কোনও ম্যাচ-মেকিং সাইট থাকত যেখানে আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে রং মিলিয়ে ঝটপট খুঁজে নেওয়া যেত সঠিক শেডের ফাউন্ডেশন? সত্যি বলতে একদম ঠিকঠাক শেডের ফাউন্ডেশন খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন, আমরাও হাড়ে হাড়ে বুঝি সে কথা! আর সেই সমস্যার সমাধান করতে আমরা হাজির হয়েছি এমন কিছু দুর্দান্ত পরামর্শ নিয়ে যার সাহায্যে আপনি সহজেই বুঝে নিতে পারবেন, মাইনের প্রায় অর্ধেকটা খরচ করে যে ফাউন্ডেশনটা কিনবেন বলে ভাবছেন সেটা আদৌ আপনার জন্য সঠিক কিনা!
একদম গোড়াতেই একটা কথা পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো! যদি নিজের সঠিক শেড সম্পর্কে নিশ্চিত না হন বা কোনও বিশেষ শেডের ফাউন্ডেশন আগে থেকে ব্যবহার না করে থাকেন, তা হলে অনলাইনে ফাউন্ডেশন কিনতে যাবেন না! অনলাইনে শেডের যে সোয়াচগুলো দেখানো হয়, তা দেখে ঠিক করে বোঝা সম্ভব নয়। তাই আমাদের পরামর্শ মেনে দোকানে যান, ফাউন্ডেশনের বেশ কিছু শেড ট্রাই করে দেখুন কোন শেডটাতে আপনার ত্বকের জেল্লা সবচেয়ে ফুটে বেরোচ্ছে! অবশ্য দোকানে গিয়ে গায়ের রঙের সবচেয়ে কাছাকাছি শেডের ফাউন্ডেশনটা কিনে বেরিয়ে এলেন, ব্যাপারটা এতটাও সহজ নয়! কারণ ফাউন্ডেশন লাগানোর পর তা ত্বকের স্বাভাবিক তেলের সঙ্গে মিশে এবং বাতাসের বিক্রিয়া করে অক্সিডাইজড হয়ে যায়। ফলে ফাউন্ডেশন পরখ করে দেখার সময় তা ত্বকে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ বসতে দিন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন শেডটা কিনবেন কিনা!
ফাউন্ডেশন কেনার আগে মাথায় রাখুন আরও কয়েকটা বিষয়।
- ফাউন্ডেশন ত্বকের রঙের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল হওয়া উচিত, এ ধারণা ভুল। কখনই নিজেকে আরও ফর্সা দেখাতে ব্যবহার করবেন না ফাউন্ডেশন। সবসময় দিনের আলোয় ফাউন্ডেশন কিনবেন। প্রথমে এক শেড হালকা ফাউন্ডেশন থুতনি থেকে চোয়াল পর্যন্ত ব্যবহার করুন। তারপর সেটা সারা মুখে মিলিয়ে দিন। এবার এক শেড ঘন ফাউন্ডেশান নিয়ে একইভাবে ব্যবহার করুন। যে ফাউন্ডেশটিন সুন্দরভাবে আপনার মুখের সঙ্গে মিশে যাবে সেটাই হবে আপনার পারফেক্ট শেড।
- বিউটি এক্সপার্টদের মতে, ফাউন্ডেশন কেনার সময় অবশ্যই হলদে টোনেরটা বেছে নিবেন। এর কারণ হলো ভারতীয় নারীরা ফর্সা হোক বা শ্যামলা; তাদের ত্বকে হলদেটে আন্ডারটোন বা আভা থাকে। যদি গোলাপি, পিচ বা সাদা শেডের ফাউন্ডেশন বেছে নেন; তা ত্বকের সঙ্গে মিশবে না সহজে। এর ফলে ত্বক সাদাতে দেখাবে।
আরও পড়ুন: মসৃণ ত্বক পেতে ঘরোয়া উপায়েই বানান পিল-অফ মাস্ক! কার কোন মাস্ক দরকার, জেনে নিন
- আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়; তাহলে অবশ্যই বেছে নিতে হবে ক্রিমি লিকুইড বা মুজ ফাউন্ডেশন। যেহেতু আপনার ত্বক শুষ্ক, তাই ডিউই এবং উজ্জ্বল দেখাবে এমন ফাউন্ডেশন বেছে নিতে হবে।
- তৈলাক্ত ত্বক যাদের; তাদের উচিত ম্যাট বা অয়েল অ্যাবজরবিং ফাউন্ডেশন। অর্থাৎ যে ফাউন্ডেশান আপনার ত্বক বেশি তেলেতেলে দেখাবে না এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে।
- ফাউন্ডেশন কেনার সময় দেখে নিতে হবে, তা সিলিকা বেসড কি-না। কারণ সিলিকা অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকে ম্যাট ফিনিশ দেয়। সেনসিটিভ ও মিক্সড ত্বক যাদের; তারাও এ ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। ফাউন্ডেশন কেনার সময় দেখে নিতে হবে, তা সিলিকা বেসড কি-না। কারণ সিলিকা অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকে ম্যাট ফিনিশ দেয়। সেনসিটিভ ও মিক্সড ত্বক যাদের; তারাও এ ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।
- এক এক ধরনের ফাউন্ডেশন এক একরকম ফিনিশ দেয়, তাই আগে থেকে স্থির করে নিন আপনি ঠিক কেমন লুক চাইছেন এবং সেইমতো বেছে নিন। ম্যাট, সেমি-ম্যাট, ডিউয়ি এবং ইউলুমিনেটিং বা শিয়ার ফিনিশের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মুখের মেদ কমাবে এই কয়েকটি এক্সারসাইজ, ফিরবে সৌন্দর্য, জেনে নিন এখনই