যৌনকামনা। বিশ্বের আদি এবং অনন্ত পরিণাম। কিন্তু যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দমও কজনের আছে বলুন? আবার অনেকেই আছেন নতুন নতুন চিন্তাভাবনার ব্যবহার করতে চান কিন্তু জ্ঞান এবং নিজের ও সঙ্গীর নানা দ্বিধার কারণে সেসবকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন না। তবে মনে শিল্পভাব থাকলে বাড়িতেই যৌনতাকে যৌনকলায় পরিণত করা যায়। তার জন্য কোনও বসন্তসেনা কিংবা মেনকার প্রয়োজন হয় না।আর নিত্য নতুন যৌনকলার অভ্যাসে শরীরের সঙ্গে যে মনের খিদেও মিটবে এটা হলফ করে বলতে পারি।
পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বেছে নিতে বাড়ির সবচেয়ে সৃজনশীল এবং ইউনিক জায়গাগুলি। সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষাও। এও কিন্তু একধরনের অ্যাডভেঞ্চার।
সফ্ট সোফায় সেক্স
বাড়িতে ছোটো সোফা বা কাউচ কমবেশি সকলেরই থাকে। যৌনতার জন্য এই ইউনিক জায়গাটিকেই বেছে নিন। বিছানার বদলে সোফায় বিভিন্ন ধরনের সেক্স পোজিশন ট্রাই করলে মানসিকভাবে অনেক শান্তি মেলে। বলছে বিশেষজ্ঞরা। অভিজ্ঞতা না থাকলে ইন্টারনেটের নানা সাইটে পড়াশোনা করে নিতে পারেন। আর যদি বাড়িতে একটি কামসূত্র বই থাকে তাহলে তো কেল্লা ফতে। দার্শনিক বাৎস্যায়ন স্বয়ং আপনাদের পথ দেখিয়ে দেবেন।
শাওয়ার সেক্স
বাথরুমের শাওয়ার খুলে দিন। হালকা একটা ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক চালান। সঙ্গীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন শাওয়ারের নীচে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আদর করুন। বাথটাব থাকলে তো কথাই নেই। তবে এক্ষেত্রে সঙ্গে একটু ওয়াইনের দরকার পড়ে। না হলে মুডটা ঠিক জমে না। হালকা মিউজিকের সঙ্গে রেড ওয়াইন, জলের ভেজা দুটো শরীরের বারবার এক হয়ে যাওয়া। ঠিক যেন স্বপ্নের মতো। তবে শাওয়ারের নীচে দাঁড়ালে বেশি হুড়োহুড়ি করবেন না। স্লিপ খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। আর বয়স বেশি হলে তো আরও বিপদ। তাই আদর করুন কিংবা আদর খান সাবধানে।
সিঁড়িতেই চরমসুখ
সিঁড়িতে সেক্স? এও কি সম্ভব? আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্ভব। নব দম্পতি কিংবা অল্পবয়সী প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য এটি দারুণ অ্যাডভেঞ্চারাস। প্রথমে সামান্য দ্বিধা হলেও একবার স্বাদ পেয়ে গেলে ছাড়তেই চাইবেন না। ফোর প্লে হোক বা ওরাল সেক্স কিংবা ইন্টারকোর্স সিঁড়িতে যৌনকলার আনন্দই আলাদা। প্রত্যেকক্ষেত্রেই চরমসুখ বেড়ে যাবে মাত্রাতিরিক্ত।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর পার্টনারকে সবচেয়ে বেশি চিট করে এই দেশের কাপল
আয়না সুখ
বাড়িতে বড় আয়না থাকলে তাঁর সামনেও মিলিত হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন নিজেদের মিলনের দৃশ্য মানসিকভাবে দারুণ শান্তি দেয়। উত্তেজনা বাড়ায়। কামনাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর যৌন মিলনের জন্য বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে সৃজনশীল জায়গাও নাকি এই আয়না। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের কথা ধরেই বলি যে, আমরা নিজেরা কিন্তু নিজেদের আয়নায় দেখতে বরাবরই ভালোবাসী। তাই নিজেদের সুন্দর এবং বিশেষ মুহূর্তগুলিও যদি চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাহলে উত্তেজনা বাড়বে বৈকি। বহু বছর আগে বাৎস্যায়ন মশাইও কিন্তু একথা তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত বইয়ে লিখে রেখে গেছেন।
রান্নাঘরে আদর
শুচিবায়ুগ্রস্তরা একথা শুনলেই রেগে যাবেন। রান্না ঘরে ‘ওই সব’ জিনিস? হরি হরি। আসলে তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। পুরোনো দিনের মানুষদের রান্না ঘর আজকের মতো স্টাইলিশ এবং মডিউলার ছিল না। তার উপর এঁটো কাঁটা নিয়ে সারাদিন খিটখিট লেগেই থাকত। কিন্তু পশ্চিমী দেশে এসবের বালাই কোনোদিনও নেই। মডিউলার কিচেনের প্রচলন সেখানে বহুযুগ ধরে। সেকারণেই পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে কিচেন ক্যাবিনেটে মিলনের একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে পশ্চিমী দুনিয়ায়। আধুনিক পরিবারগুলিতেও মডিউলার কিচেন থাকে। কোনোদিন সেখানে সঙ্গীর সঙ্গে মিলনে মেতে উঠে দেখুন। মনের মধ্যে হালকা ভয়, অনেকটা উত্তেজনা আর নতুন কিছু করার তাগিদে যৌনতাকে সত্যি সত্যিই যৌনকলা বলে মনে হবে। শুধু একবার সাবেকি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসুন।
আরও পড়ুন: সংক্রমণের আবহে শারীরিক সম্পর্ক?জানুন নিরাপদ সেক্সের জন্য কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন