বহু প্রচলিত কথা সমাজে চলে। যুগে যুগেই তা চলে। যার বহু কিছুরই বাস্তব ভিত্তি থাকে না। কিন্তু মানুষ তা আওড়াতে ছাড়ে না। হস্তরেখা বিদ্যা কিংবা এস্ট্রোলজির নাম করে নানা মিথ্যাচার চলে বাজারে। আপনি জটি গুজব বলে উড়িয়ে দেন, তা উড়ে যায় না। শরীরের কোন কোন জায়গায় তিল থাকা ভালো। কোথায় তিল থাকা খারাপ লক্ষণ। কেমন ধরণের স্তনের মেয়েরা সুখী হয়। কেমন গঠন হল তা অশুভ তা নিয়েও চর্চা হয়। তবে এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। যদি তা কখনো মিলেও যায় তবে তা কাকতালীয় ছাড়া কিছু নয়।
মেয়েকে বাড়ির বৌ হিসাবে নির্বাচন করার আগে তার শরীরের নানা লক্ষণের দিকে অনেকে খেয়াল করেন। তাদের ধারণা এই লক্ষণ দিয়ে শুভ এবং অশুভ যাচাই করা যায়। যদিও তা সম্পূর্ণ বেকার কথা। সুলক্ষণা মেয়ে চিনতে এই সব কুসংস্কারগ্রস্তরা আজও কিছু জিনিস পরোক্ষ করেন। সুলক্ষণা মেয়ে চিনতে তারা কিছু জিনিস দেখেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবার শাশ্বত-শ্রাবন্তী জুটি, ১১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘ছবিয়াল’
- যারা পিছন দিক বাঁকিয়ে বাঁকিয়ে চলে তারা নিজেদের কে সবার থেকে বড় মনে করে । হাঁটার সময় যে মেয়েদের স্তন বেশি দুলে দুলে যায় তারা অসৎ প্রকৃতির হয় । হাঁটার সময় যাদের মাটিতে আওয়াজ হয় তাঁরা অল্প বয়সে বিধবা হয় ।
- যে সব মেয়েদের বুক বড় তাঁরা অসৎ চরিত্রের হয় ।
- যাদের বুক নিচু ও বুকে লোম থাকে তারা যথাক্রমে নির্ধন ও বিধবা হয় ।
- যে সব মেয়েদের স্তন দুটি ঘন, সুগোল, সমান, স্থূল, উন্নত হয় তারা অবশ্যই সুলক্ষণা হবে।
- যাদের স্তনের বোঁটা উন্নত নয় তাঁরা ভাগ্যবতী, যাদের স্তনের বোঁটা দীর্ঘ হয় তারা দরিদ্র হয় ।
- যে মেয়ের ডান স্তন উন্নত হয় সে পুত্র সন্তান ও যার বাম স্তন উন্নত সে কন্যা সন্তান জন্ম দেয় ।
- যে মেয়ের স্তন দুটির মাঝে ফাঁক বেশি হয় তাঁরা দুঃখী হয় ।
- স্তনের চার পাশে যদি কালো ও স্তন বৃন্ত ফাটা ফাটা এবং স্তনে ফাটা ফাটা দাগ থাকে তারা চির রুগ্না ও দরিদ্র হয়।
- স্তনের মধ্যে ফাঁকা কম থাকলে তারা সুখী হয়ে থাকে।
- মেয়েদের স্তন মোটা ও পুরু এবং তা আকৃতিতে অনেক বড় হয় তারা দুশ্চরিত্রা হয়ে থাকে।
যারা প্রচার করে এসব সত্য, তারা আসলে কুসংস্কারগ্রস্ত। এর সঙ্গে ভাগ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এদেশের লোক আজও নানা কুসংস্কারে মেতে থাকে। তাদের কানে বাস্তবতা ঢোকানো সহজ কথা নয়।
আরও পড়ুন: অবহেলা করবেন না,স্তন সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই নির্দেশগুলি