What were the food habit of Mahatma Gandhi?

Gandhi Jayanti 2021: উপবাস ও নিরামিষ খাবারেই কাটিয়েছেন গোটা জীবন, অনুপ্রেরণা নিন আপনিও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আজ পালিত হচ্ছে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী। যিনি ভারতের অন্যতম সক্রিয় নেতা এবং একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন। এই স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি মোট ১৭টি উপবাস গ্রহণ করেন। এবং তাঁর দীর্ঘতম উপবাস ছিল ২১ দিনের। তিনি তাঁর কী টু হেলথ  বইতে লিখেছিলেন, “ফুড ইজ লাইফ”। গান্ধীজি আরও লিখেছিলেন যে, “যদিও এটা সত্য যে মানুষ বাতাস এবং জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, কিন্তু যে জিনিসটি শরীরকে পুষ্ট করে তা হল খাদ্য।” এবং তিনি জীবনের প্রথম থেকেই নিরামিষ খাদ্য ভোজন করে গেছেন।

মহাত্মা গান্ধী তাঁর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন এবং ডায়েট অ্যান্ড ডায়েট  রিফর্ম  বইটির একটি অধ্যায়ে তাঁর খাদ্যাভ্যাসের সেই নমুনা রয়েছে। গান্ধীজি তাঁর বইতে লিখেছেন যে, তিনি সাধারণত খান অঙ্কুরিত গম, আমন্ড, সবুজ পাতা, লেবু এবং মধু। তিনি আরও লিখেছেন যে, খাবারটি দুটি ভাগে বিভক্ত, প্রথম খাবারটি সকাল ১১ টায় গ্রহণ করতেন। দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে। আগুন দ্বারা স্পর্শ করা একমাত্র খাদ্য যা তিনি গ্রহণ করতেন তা হল জল। তিনি সকালে এবং দিনের মধ্যে আরও একবার গরম জলে লেবু এবং মধু মিশিয়ে পান করতেন।

মহাত্মা গান্ধী ১৯১১ সালে লবণ-মুক্ত খাদ্য খাওয়া শুরু করেছিলেন। তিনি খাবারে অতিরিক্ত নুন যোগ করার কট্টর বিরোধী ছিলেন। ১৯২০-এর দশকের শেষের দিকে, তিনি ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী আবার নুন খাওয়া শুরু করেন। গান্ধীজি তাঁর দ্য মোরাল বেসিস অফ ভেজিটেরিজম  বইতে বলেছিলেন, “আমি ছয় বছরের জন্য আমার খাদ্যতালিকা থেকে দুধ বাদ দিয়েছিলাম।” তবে ১৯১৭ সালের পর তিনি আবার দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া শুরু করেন। তিনি তার ল্যাকটোজ মুক্ত পরীক্ষা অনুসরণ করার পরে লিখেছিলেন যে নিরামিষ খাদ্যেতালিকায় দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক।

তাঁর এই খাদ্যাভাস থেকে এইটুকু বিষয় স্পষ্ট যে তিনি কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ করতে না। তিনি মনে করতেন সুস্থ শরীরের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য না গ্রহণ করাই ভাল। তিনি প্রতিদিন ৩০ টির বেশি শস্য খেতেন না। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, গান্ধীজি ফল পছন্দ করতেন এবং আম তাঁর প্রিয় ছিল। তবে তিনি পরিশোধিত চিনি গ্রহণ করতেন না। গান্ধী ১৯৪১ সালে লিখেছিলেন, “আম একটি অভিশপ্ত ফল। “এটি যেমন মনোযোগ আকর্ষণ করে, তেমন অন্য কোনও ফল করে না। তাই আমাদের এই ফলের অভ্যাস না করাই ভাল।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest