Site icon The News Nest

নীল ছবিতে আসক্ত? জেনে নিন কিছু সহজ মুক্তির উপায়

FB

ওয়েব ডেস্ক: আপনার আশেপাশে এমন অনেকেই হয়তো আছেন, যাঁরা পর্নোগ্রাফি দেখতে বা পড়তে অভ্যস্ত। অনেকেই নিজের সেক্সুয়াল ড্রাইভ সাময়িকভাবে বাড়ানোর জন্য porn দেখেন বা পড়েন। কিন্তু নিজের অজান্তেই কখন যে তাঁরা পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন, তা তাঁরা নিজেরাই বুঝতে পারেন না। যদি আপনার মধ্যে এমন কোনও লক্ষণ (Stop Watching Porn) দেখা দেয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনিও নিষিদ্ধ ভিডিওতে আসক্ত!

যাঁরা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হন, একটা সময়ের পর তাঁদের মধ্যে একটা কমন সমস্যা দেখা দেয়। সেটা হল, তাঁরা বাস্তব এবং অবাস্তবের মধ্যে তফাৎ করতে পারেন না! কম্পিউটার বা ফোনের পর্দায় যা দেখছেন, সেটাই বাস্তব বলে ভেবে বসেন! ফলে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে দেখা যায় নানা সমস্যা; কারণ, আদতে বাস্তব জীবন এবং সিনেমার জগতের মধ্যে ফারাকটা বিস্তর!

পর্নোগ্রাফির আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে গেলে সবার প্রথমে যেটা দরকার তা হল মানসিক জোর এবং ইচ্ছেশক্তি! এছাড়া আপনি বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের বাকি সকলের সাহায্যও নিতে পারেন।

১। একটা জার্নাল বা ডায়েরি তৈরি করুন

আপনার যদি ডায়েরি লেখার অভ্যেস থাকে তা হলে ভাল, যদি না থাকে, তা হলে অভ্যাস করুন। পর্নোগ্রাফি না দেখে বা না পড়ে আপনার মানসিক কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনি কী-কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, এগুলো সবই ওই ডায়েরিতে লিখে রাখুন।

২। যেখান থেকে আপনি নিষিদ্ধ ভিডিও বা বই পেতে পারেন সেসব অ্যাক্সেস বন্ধ করুন

মোবাইলের মেমরি কার্ড, পিসি/ল্যাপটপ/ট্যাব থেকে যত পর্নোগ্রাফিক ছবি এবং ভিডিও আছে, ডিলিট করুন। কারণ, পর্নোগ্রাফি না দেখার ব্যাপারে মনস্থির করলেও, হাতের কাছে যখন এগুলো পাবেন, দেখতে ইচ্ছে করবে। ল্যাপটপ থেকে পর্নোগ্রাফি সাইট গুলো ব্লক করুন। ইউটিউবে বেশি সময় কাটাবেন না। যেই ভিডিওটা দেখা প্রয়োজন, সম্ভব হলে শুধু সেটা দেখেই বেরিয়ে আসুন। ইউটিউবে পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট থাকে না ঠিকই, তবে সফট পর্ন থাকে। অনেক সময় কোনও ভিডিও দেখার সময় ডান পাশের সাইড বারে অন্যান্য ভিডিও’র থাম্বনেলের সঙ্গে এসব সফট পর্ন ভিডিও-ও চলে আসে। সেরকম হলে ইউটিউবের সেফ ফিল্টারটি (Best Way To Stop Watching Porn) অন করে রাখতে পারেন, এতে আপনি কোনও অ্যাডাল্ট কনটেন্ট দেখতে পাবেন না।

৩। কোন-কোন বিষয়গুলো আপনাকে উত্তেজিত করে সেটা খেয়াল করুন

Porn দেখার প্রতি কোন-কোন জিনিস গুলো আপনার মনকে উত্তেজিত করে, সেগুলো খেয়াল করে তাঁর একটা তালিকা তৈরি করুন। কোনও গান, নির্দিষ্ট কোনও ভিডিও বা কোনও ছবি – কিছুও হতে পারে সেই উত্তেজক বস্তুটি। যদি কোনও গান বা ভিডিও বা ছবি এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং তা আপনার ল্যাপটপে বা মোবাইল ফোনে থাকে, তা হলে সেগুলো তৎক্ষণাৎ ডিলিট (Quit Watching Porn) করে ফেলুন। যে-কোনও বিষয় যা আপনার মধ্যে যৌন উত্তেজনা জাগায়, তার কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।  

৪। আপনার জীবনে Porn কী-কী ক্ষতি করেছে তার একটা তালিকা তৈরি করুন

আপনার পারিবারিক অথবা সামাজিক জীবনে আপনার এই পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি কতটা প্রভাব ফেলেছে, তার একটা তালিকা তৈরি করুন। তা ছাড়া এই নেশা আপনার শরীরের উপরে কোনও খারাপ প্রভাব (Quit Watching Porn) ফেলেছে কিনা তারও একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন। এবারে নিজেই সুস্থ মস্তিস্কে ভেবে দেখুন যে Porn Addiction আপনার জীবনে ভাল কিছু আদৌ করেছে কিনা! যদি উত্তর না হয়, তা হলে আশা করি এটাই যথেষ্ট একটা কারণ পর্নোগ্রাফির আসক্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য!

৫। সুস্থ কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলুন

মন শান্ত করার জন্য মেডিটেশন করতে পারেন। যে ইন্টারনেট ঘেঁটে এতদিন নিষিদ্ধ ভিডিও খুঁজতেন, সেখান থেকেই পেয়ে যাবেন গাইডেড মেডিটেশনের অনেক ভিডিও। নিয়মিত মেডিটেশন করলে আপনার মন শান্ত থাকবে এবং মনের উপরে নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। মন আপনাকে চালাবে না, আপনিই মন কে চালাবেন। এছাড়া নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন এবং অফিসের কাজে বা পড়াশোনায় মন দিতে পারেন।

৬। পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটান

Porn addiction থেকে মুক্তি পেতে মনের জোর যেরকম প্রয়োজন তেমনই প্রয়োজন পরিবারের মানুষদের এবং বন্ধুদের সাপোর্ট। যদি আপনি মনে করেন যে, আপনি একা এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে বাড়ির লোকের বা বন্ধু-বান্ধবের সাহায্য আপনি নিতেই পারেন। 

আর এগুলোতে কাজ না হলে আপনি কোনও ভাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নার্ভ সুদিং ওষুধ খেতে পারেন। এই ধরনের ওষুধগুলো আপনার স্নায়ুর উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে এবং এর ফলে আপনার যৌন উত্তেজনাও যথেষ্ট কম হয় এবং ধীরে-ধীরে পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তিও কমতে শুরু করে।

Exit mobile version