Are you doing these before and after breastfeeding the baby?

শিশুকে স্তন্যপান করানোর আগে ও পরে এগুলো করছেন তো?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শিশুকে স্তন্যপান তো সব মা করান। কিন্তু জরুরি বহু কিছু তাদের মাথায় থাকে না। নতুন মায়েদের জন্য রইল বেশ কিছু টিপস ৷ যেগুলি তাঁরা মনে রাখলে মা ও শিশু দু’জনেই উপকৃত হবে ৷

  • মা ও সদ্যোজাতর শারীরিক জটিলতা না থাকলে সন্তানের জন্মের পর থেকেই স্তন্যপান করানো শুরু করুন ৷
  •  সন্তান প্রসবের পর থেকেই মায়ের স্তনে হলুদ কলোস্ট্রাম ক্ষরণ হয় ৷ নবজাতকের জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয় ৷ পুষ্টিমূল্যে ভরপুর কলোস্ট্রাম সদ্যোজাতকে অবশ্যই পান করাবেন ৷
  • প্রতি দু’ ঘণ্টা অন্তর ব্রেস্টফিডিংয়ের চেষ্টা করুন ৷ সন্তানের জন্য ‘এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং’ রুটিন পালন করতে পারলে সেটা খুবই ভাল ৷ এর অর্থ জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুই ব্রেস্টমিল্ক ডায়েটে রাখা ৷
  • স্তন্যপান করানোর আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করে নিলে ভাল হয় ৷ এতে শরীর ঝরঝরে লাগে ৷ দুধের যোগানও পর্যাপ্ত হয় ৷
  • যদি জনসমক্ষে ব্রেস্টফিডিং করাতে হয়, নিভৃত কোণ বেছে নিন ৷ আপনি নিজে স্বচ্ছন্দ না হলে ভাল করে ব্রেস্টফিড করাতে পারবেন না ৷ ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন ৷
  • শিশুর খাওয়ার সময়সূচি মেনে চলার চেষ্টা করবেন ৷ দেরি করবেন না ৷ যদি বাচ্চা কান্নাকাটি নাও করে, তাও নির্দিষ্ট সময়েই ব্রেস্টফিড করান ৷ মনে রাখবেন, শিশু কাঁদছে মানে তার খুবই খিদে পেয়েছে ৷ অল্পস্বল্প খিদে অনুভূতির ক্ষেত্রে অন্য লক্ষণ দেখা দেয় ৷ যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খিদে পেলে শিশু জিভ বার করে তার ঠোঁট চাটতে থাকে ৷ কখনও কখনও সে আঙুলও চোষে ৷ এই ভঙ্গিগুলো দেখলে সতর্ক হবেন ৷ বুঝবেন ওর খিদে পেতে শুরু করেছে৷

আরও পড়ুন : আপনি জানেন কি বিজ্ঞানের আলোয় লিঙ্গ মূলত ৭ প্রকার!

  • ব্রেস্টফিডিং করানোর আগে বাচ্চার ডায়াপার পাল্টে দিন৷ ভিজে ও অস্বস্তিজনক অবস্থায় কোনও শিশুই ভাল করে খেতে পারে না ৷ পাশাপাশি নিজেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নিন ৷ প্রতি বার বাচ্চাকে ব্রেস্টফিড করানোর আগে ও পরে পরিষ্কার ভিজে কাপড়ের টুকরো দিয়ে স্তনবৃন্ত পরিষ্কার করে নেবেন ৷ হাত ধোবেন সাবান দিয়ে ৷ আপনি এটুকু খেয়াল না রাখলে কিন্তু ক্ষতি হবে আপনার সন্তানেরই ৷
  •  সন্তানকে ব্রেস্টফিড করানোর আগে প্রচুর পরিমাণে জল বা ফলের রস খান ৷ মায়ের শরীরে ফ্লুইডের ভারসাম্য সামঞ্জস্যপূ্র্ণ না হলে দুধের উৎপাদন ব্যাহত হবে ৷ পাশাপাশি যত্ন নিন নিজের খাওয়াদাওয়ার দিকেও ৷ ডায়েটে রাখুন প্রোটিন ও ভিটামিনের সঠিক সামঞ্জস্য ৷ ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারও অবশ্যই খাবেন নতুন মায়েরা ৷
  • হাসপাতালের নার্স বা বাড়িতে অভিজ্ঞ কারওর কাছে শিখে নিন ব্রেস্টফিড করানোর সময় শিশুকে কীভাবে কোলে শোয়াবেন এবং ধরে থাকবেন৷ মায়ের কোলে সঠিক ভঙ্গিমায় শিশু না থাকলে কিন্তু মা ও সন্তান অসুবিধে হবে দু’জনেরই ৷
  • সবার শেষে আরও একটা কথা ৷ ব্রেস্টফিডিং কিন্তু অত্যাচার বা নিপীড়ন নয় ৷ এই অভ্যাসে একদিকে যেমন নবজাতক সুস্থ থাকে, ঠিক সেরকমই অন্যদিকে মায়ের জন্যও ভাল৷ তাই স্বচ্ছন্দ হয়ে খুশি মনে সন্তানকে ব্রেস্টফিড করান ৷ ধৈর্য হারাবেন না ৷ মনে রাখবেন নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে জীবনে প্রথম বার এই অভিজ্ঞতায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি কিন্তু ধৈর্য ৷

আরও পড়ুন : Sexual Health: বহু দিন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হননি? জানুন কী ক্ষতি হচ্ছে এর জেরে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest