প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব একটি সত্ত্বা রয়েছে, সকলেরই ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। আর তাই এই কথা কিন্তু আমাদের সকলেরই মাথায় রাখা উচিত। সন্তান বড় হলে তার যেমন স্পেসের প্রয়োজন হয় তেমনই স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মধ্যেও স্পেসের দরকার পড়ে। আর এই প্রয়োজনীয়তা দুজনকেই বুঝতে হবে। নইলে অযথা অশান্তি, খিটিমিটি এসব লেগে থাকবেই।
যে কোনও বিষয়েই অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করেন- কিছু মানুষ এমন আছেন যাঁরা সঙ্গীর সব বিষয়েই অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করেন। সঙ্গীর প্রতিটি আচরণ নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন। এমনকী প্রতি মুহূর্তে এটাই শুনতে চান যে সঙ্গী শুধুমাত্র তাঁকেই ভালোবাসে। সেই সঙ্গে কোনও রকম মজা এঁরা সহজে নিতে পারেন না।
সব সময় নেতিবাচক ভাবেন- এঁরা কখনই পজিটিভ ভাবতে পারেন না। সব সময় এমন কিছু ভাবেন যাতে নিজের ক্ষতি আর সম্পর্কের ক্ষতি। সঙ্গীকে এঁরা বিশ্বাসই করতে চান না। ভাবেন সঙ্গী বুঝি তাঁকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যে কোনও দিন ছেড়ে চলে যেতে পারে। সঙ্গীর সোজা কথা সোজা ভাবে নিতে পারেন না।
অধিক গুরুত্ব দেন- একটা সম্পর্ক যখন দুজনের তখন সেখানেই দুজনের বলার মতো কিছু কথা থাকে। কিন্তু অনেক সময় মেয়েরা অধিক পতিব্রতা হয়ে সব দায়িত্বই ছেলেদের উপর চাপিয়ে দেন। যে কোনও সিদ্ধান্ত, যে কোনও কাজের দায়িত্বে থাকে ছেলেটি। স্বামীকে ঘিরেই যেন তাঁর জগৎ। ছেলেরা কিন্তু এমনটা পছন্দ করেন না।
আরও পড়ুন: Sexual Health: বহু দিন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হননি? জানুন কী ক্ষতি হচ্ছে এর জেরে
অহেতুক নাটক করেন- কিছু মেয়ে এমন আছেন যাঁরা সাধারণ বিষয়কেও অসাধারণ ভাবে দেখাতে চান। অকারণেই অতিরিক্ত চিৎকার করেন। নিজের দিকে নজর ঘোরাতে নাটকও করেন। এসব কিন্তু ছেলেরা একেবারেই পছন্দ করে না। বিশেষত শাশুড়ি বৌমার সমস্যা নিয়ে অনেকেই অতিরিক্ত নাটক করেন।
ছেলেরা সব জানবে- কারোর পক্ষেই অন্য কারোর মন পড়ে ফেলা সহজ হয়। বলা ভালো সম্ভব নয়। আর তাই সব সময় প্রেমিক বা স্বামীরা আপনার ইচ্ছে মুখ দেখে বুঝে যাবে এমন নয়। অনেকেই সঙ্গীর উপর অধিক প্রত্যাশা করেন। এদিকে মুখ ফুটে কিছু বলেন না। ভাবেন রাগ হলেও সঙ্গী ঠুক বুঝে নেবেন। এমনটা কিন্তু সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্মের পর কত তাড়াতাড়ি আপনি সেক্স করতে পারবেন?