ব্রেকআপ অর্থাৎ একটা সম্পর্কের শেষ হওয়া মানে সেই সম্পর্কে থাকা দুই ব্যক্তিই মানসিক ভাবে একটা বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যান। ব্রেকআপ হওয়ার পর সেই সম্পর্ক আর টেনে না নিয়ে যাওয়াই মঙ্গলের। বরং নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করুন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে ভাল রাখবেন, নিজের মন ভাল রাখবেন তার খেয়াল নিজেকেই রাখতে হবে।
- ব্রেকআপের পর মানসিক শান্তির জন্য একটা সোলো ট্রিপ প্ল্যান করতে পারেন। যাঁর যে রকম জায়গা পছন্দ সেখানে বেড়াতে যেতে পারেন। একা বেড়াতে গেলে নিজেকে আরও বেশি করে সময় দিতে পারবেন। নিজেকে চিনতে পারবেন, বুঝতে পারবেন।
- বন্ধুরা হলো আমাদের জীবনের লাইফলাইন। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার কাজে তাঁরা আপনাকে সমস্তরকমভাবে সাহায্য করবেন। আর তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে আপনিও পুরনো সম্পর্কের চোরাগলি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
- সেলফ কেয়ার অর্থাৎ নিজের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কোনও বিউটি পার্লারে গিয়ে যেকোনও ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে নতুন হেয়ারকাট, নিউ লুক, বডি ম্যাসাজ এসব মন-মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে।
- মনকে বর্তমানে ব্যস্ত রাখতে হবে। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে কাজ করতে থাকুন। অফিসে গিয়ে নিজের কাজ মন দিয়ে করুন। নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখুন। তাতেই দেখবেন মনে বিরাজ করবে শান্তি।
- ভাল খাবার খেলে অনেকসময়েই মন ভাল থাকে। তাই যাঁরা ভোজনরসিক তাঁরা ব্রেকআপের পর খাওয়াদাওয়ায় মন দিতে পারেন। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকেও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে।
- পরিবারের সদস্যরা সবসময়ই আমাদের ভালো চান। তাঁরা আমাদের একান্ত আপন। তাই কেউ পাশে না থাকলেও এই মানুষগুলি আমাদের পাশে থাকেন। তাই মন আনচান করে উঠলে নিজের কাছের মানুষগুলির কাছে যান।
- এই সময় মনকে ভালো রাখতে চাইলে আপনাকে নিজের পছন্দের কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বই পড়া, খেলাধুলা, গান, সিনেমা দেখা– আপনি যা পছন্দ করেন, তাই আবার নতুন করে করা শুরু করে দিন। তাহলেই দেখবেন হৃদয় থেকে পুরনো কথা নেমে যাবে।
- যোগাসন এবং মেডিটেশন বা ধ্যান করলে স্ট্রেস কমে। আর আপনি মানসিক চাপমুক্ত থাকলে ভাল থাকবেন। ব্রেকআপের পরে এমনিতেও মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাই সেই সময় যোগাসন বা মেডিটেশন আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।
যাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে, সে যে কারণেই হোক না কেন, সেই সম্পর্কে আবার ফিরে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। মনে রাখবেন এমনটা করলে আদতে নিজের আত্মসম্মান খোয়ানো হবে।