Site icon The News Nest

সদ্য মা হয়েছেন? ‘ব্রেস্ট-মিল্ক ডোনার’ হতে চান? দেওয়া হল গাইডলাইন

breat milk pump 1

প্রথমবার ব্রেস্ট-ফিডিং ব্যাপারটা নতুন মায়েদের জন্য যেমন ভীষণ আনন্দের তেমনই চ্যালেঞ্জের। শিশু জন্মের পর প্রথম পাঁচ-ছ মাস তাকে মায়ের দুধ খাওয়ার পরামর্শই দেন ডাক্তারেরা। বাচ্চাদের শরীরে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন জোগান দেওয়ার পাশাপাশি মায়ের দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিবডি, যা শিশুদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।

সুস্থ, সবল রাখে। আর এখানেই একটা প্রশ্ন জেগে ওঠে- যেসব বাচ্চারা নানা কারণে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত, তাদের কী হবে? সন্তান জন্মের পর নানা কারণে অনেক মায়েরই প্রাকৃতিকভাবে বুকের দুধ তৈরি হয় না, বা পরিমাণমতো ক্ষরণ হয় না।

আরও পড়ুন: বাজারে এল নতুন শাওমি MI QLED টিভি, জেনে নিন দাম এবং ফিচার্স…

জন্মমুহূর্তে মা’কে হারিয়েছে এমন শিশুর সংখ্যাও কম নয়৷ মায়ের দুধের অভাবে তাহলে কি তাদের পুষ্টি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে? আর পাঁচটা বাচ্চার মতো ঠিকঠাক বেড়ে উঠবে না তারা? ছোট থেকেই প্রিম্যাচিওরিটির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হবে? প্রশ্নগুলো সম্ভবত ভাবিয়ে তুলেছিল অনেক মানুষকেই।

সমস্যার সমাধান খুঁজতে এগিয়ে এলেন মায়েরাই। ১৯৮০ থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে খোলা হল মাতৃস্তন্য সঞ্চয়ের ব্যাঙ্ক। মায়েরা নিজের সন্তানের পেট ভরার পর উদ্বৃত্ত দুধটুকু জমিয়ে রাখতে শুরু করলেন এইসব ব্যাঙ্কে। এই পৃথিবীর বুকে জন্মানো কোনও শিশুরই যেন মায়ের দুধের অভাব না হয়, এমনটিই চেয়েছিলেন তাঁরা।

আজকের ভারতেও ‘মিল্ক-ব্যাঙ্ক’ খুব পরিচিত একটা শব্দ। মায়েদের মধ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে বুকের দুধ দান করার আগ্রহ। অনেক নতুন মায়েরাই এগিয়ে আসছেন ‘ডোনার’ হিসাবে। আগলে রাখতে চাইছেন নিজের শিশুর পাশাপাশি, অন্যের সন্তানটিকেও। এ বিশ্বকে শিশুদের বাসযোগ্য করে যাওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।

যত দিন যাচ্ছে আমাদের জীবনযাপন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। অনিয়মিত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবারের প্রতি আগ্রহ, মানসিক চাপ, টেনশন – এসব থেকে অনেকসময়ই নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়, যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুজন্মের পর নতুন মায়েদের ব্রেস্ট-মিল্ক আসছে না, বা যে পরিমাণে এলে তা শিশুটির পেট ভরাতে পারে, সেই পরিমাণ ক্ষরণ হচ্ছেনা। অর্ধেক খাবার বা অর্ধেক পুষ্টি সবে জন্মানো একটা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। তাতে অদূর ভবিষ্যতে অপুষ্টিজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তখনই ব্রেস্ট-মিল্ক ডোনেট করার দরকার পরে।

সোজা কথায়, মায়ের বুকের দুধের ঘাটতি মেটাতে অন্য কোনও মায়ের থেকে কিছুটা দুধ ধার করে এসব ক্ষেত্রে শিশুটিকে খাওয়ানো হয়। এর ফলে একদিকে যেমন সদ্যোজাতর পেটও ভরে, পাশাপাশি সন্তানের পুষ্টি নিয়ে অভিভাবকেরাও অনেকাংশে নিশ্চিন্ত থাকেন।

মাতৃদুগ্ধের এর থেকে ভালো বিকল্প আর কিছু হতেই পারে না। তাই আপনি যদি সবে সবে মা হয়ে থাকেন, এবং আপনার ব্রেস্ট-মিল্ক ক্ষরণ যদি সুস্থ আর স্বাভাবিক হয়ে থাকে, তাহলে তাকে নষ্ট করবেন কেন! নিজের সন্তানের পুষ্টির পাশাপাশি আপনার বুকের দুধ পারে আরও একটি শিশুর পেট ভরাতে, তাকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে।

কারা কারা ডোনার হতে পারেন

ডোনেট করবেন কীভাবে?

আরও পড়ুন: রূপচর্চায় অপরিহার্য গ্রিন টি, বিশ্ব চা দিবসে জেনে নিন তারই খুঁটিনাটি…

 

Exit mobile version