দল বেঁধে যৌনতা! কপালে চোখ তুলবেন না… সাক্ষী আছে ইতিহাস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

যাঁরা নীল ছবি দেখতে অভ্যস্ত, তাঁরা হয়তো সেই ধরনের ছবি দেখে ‘থ্রিসাম’ অথবা ‘গ্রুপ সেক্স’ ইত্যাদি শব্দবন্ধগুলির সঙ্গে পরিচিত হন। কিন্তু সমাজবিদ্যা অথবা ইতিহাস নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে যাঁরা পড়াশোনা করেছেন, তাঁরা জানেন যে একেবারে প্রাচীন কাল থেকেই যৌনতার এই ট্রেন্ডগুলি বিদ্যমান ছিল।

বার্কউইৎজ-এর ‘সেক্স অ্যান্ড পানিশমেন্ট: ফোর থাউজ্যান্ড ইয়ারস অফ জাজিং ডিজায়ার’(২০১২) বইটি যদি কেউ নেড়েচেড়ে দেখেন, তবে সেখানে প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে সঙ্ঘবদ্ধ যৌনতার ধরনটি কেমন ছিল, সেই সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন। শুধু তাই নয়, কীভাবে সমাজ-রাজনীতির পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক সভ্যতায় এই ধরনের যৌনতা সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পালটেছে, সেই নিয়েও আলোচনা রয়েছে এই বইটিতে।

আরও পড়ুন:  বার বার ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্ক? ভেবে দেখুন কেন এমন হচ্ছে…

প্রাচীন কালের বহু পেইন্টিংয়েও ত্রয়ী-যৌনতা অথবা সঙ্ঘবদ্ধ যৌনতার ভাষ্য উঠে এসেছে। এদুয়ার্দ হেনরি আভরিল-এর আঁকা ছবি ‘ডি ফিগারিস ভেনেরিস’ অথবা আন্দ্রেয়া মান্তেগা-র আঁকা ছবি ‘বাক্কানাল উইথ আ ওয়াইন ভ্যাট’-এ প্রাচীন কালের অর্জি উৎসবের রেফারেন্স রয়েছে। প্রাচীন গ্রিসে বা রোমে মদের দেবতা দিওনুসাস বা বাক্কাসের উৎসবে এই ধরনের যৌনোৎসব চালু ছিল। মধ্যযুগে ‘শয়তান উপাসক’ হিসেবে পরিচিত সম্প্রদায়গুলির মধ্যেও যুথবদ্ধ যৌনতা প্রচলিত ছিল। মার্কিন পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিকের ‘আইজ ওয়াইড শাট’ (১৯৯৯) ছবিতে এই ধরনের যৌনাচার পালনের দৃশ্য সেইসময়ে হইচই ফেলেছিল।

সাধারণত প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে, বসন্তকালে একটি ধর্মীয়-সামাজিক রিচুয়াল ছিল সঙ্ঘবদ্ধ যৌনতা। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে কৃষি উৎপাদন, আদিমাতৃকা কাল্ট বা উর্বরাশক্তির উপাসনা ইত্যাদিও। প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাসেও বসন্ত উৎসবে উন্মুক্ত যৌনতার প্রসঙ্গ রয়েছে। কলোনিয়াল যুগে যখন পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ইউরোপের শাসনাধীন, তখন থেকেই এই প্র্যাকটিসগুলিতে রাশ টানা শুরু হয়, খানিকটা শাসনের সুবিধার্থে ও খানিকটা সেই সময়কার ‘ভিক্টোরিয়ান মরালিটি’-র আধিপত্যে।

তাই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে যখন সুইং পার্টি অথবা সেক্স ক্লাবের প্রসঙ্গ ওঠে, তখন কোনও ভাবেই তাকে ভুঁইফোড় সংস্কৃতি বলা যায় না। এটা এমন একটা ট্রেন্ড যা সভ্যতায় আবহমান কাল ধরে থেকেছে। সুতরাং এই ধরনের যৌনতার ‘নৈতিকতা’ নিয়ে যদি যে প্রশ্ন উঠছে তা একান্তই দেশ-কাল-সমাজ-আইন-রাজনীতি সাপেক্ষ।

আরও পড়ুন: শারীরিক মিলনের আনন্দ সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে চান? তাহলে বশে রাখুন মনকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest