ভারতে ৬৫% বিক্রি বেড়েছে কন্ডোম, সেক্সটয়ের! এগিয়ে চার শহর, কলকাতা কি রয়েছে তালিকায়?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনার গ্রাসে বিশ্বের শতাধিক দেশ। ভারতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে যৌন সঙ্গম কতটা নিরাপদ? এই সময় যৌন সঙ্গম কি কোনও ভাবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে? এই আতঙ্কই এখন গ্রাস করেছে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে। ফলে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে কনডম, গর্ভনিরোধক ওষুধ আর সেক্সটয়ের চাহিদা! ভরতেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

সম্প্রতি ‘ThatsPersonal.com’ নামের একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের করা সমীক্ষায় সামনে এসেছে ভারতীয়দের দ্রুত বদলে যাওয়া যৌন জীবন সম্প্রকিত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘ThatsPersonal.com’ নামের এই ওয়েবসাইট থেকে কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো একাধিক পণ্য কেনেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, বিগত দু’-তিন মাসে করোনা আতঙ্কের আবহে ভারতে কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো পণ্যের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ! প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ ভিজিটর এবং ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার পণ্যের কেনাকাটার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে এই সংস্থা।

আরও পড়ুন: লিভ-ইন সম্পর্ক শুরু করতে চান? মেনে চলুন এই ৭টি প্রয়োজনীয় টিপস

সমীক্ষাটির মাধ্যমে জানা গিয়েছিল আরব সাগরের তীরেই যৌন খেলনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। কথায় আছে, ‘মুম্বই শহর নাকি কখনও ঘুমোয় না।’ কাজের ব্যাপারে যেমন এই শহরের বাসিন্দারা সক্রিয়, যৌনতার ক্ষেত্রে একই রকম সক্রিয় মুম্বই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। এই শহরের মানুষ দৈনন্দিন ব্যস্থতা সামলেও সেক্স টয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে উঁকি মারেন, তা বলাই বাহুল্য। চতুর্থ স্থানে রয়েছে মুম্বই থেকে ৪ ঘণ্টা দূরের শহর পুণে। কিন্তু সেই সমীক্ষায় উঠে আসেনি কলকাতার নাম।

রাজ্য হিসাবে বিচার করতে গেলে কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো পণ্যের চাহিদা আর বিক্রির নিরিখে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাম। মহারাষ্ট্রের পরেই এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু।

এই সমীক্ষা অনুযায়ী, কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো পণ্যের কেনাকাটার জন্য মহিলারা বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সময়েই বেশি সক্রিয় থাকেন। রাত ৯টার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই সমস্ত পণ্যের কেনাকাটায় পুরুষদেরই ভিড় বেশি। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের মধ্যে সেক্সটয়ের মতো পণ্যের বিষয়ে ঝোঁক বা খুঁজে দেখার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তবে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী যুবক-যুবতীরাই সবচেয়ে বেশি সেক্সটয় কেনেন। জানা গিয়েছে, বিগত মাস তিনেকে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটগুলিতে মহিলাদের সেক্সটয়ের অনুসন্ধান প্রায় ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যদি উন্নয়নশীল দেশের মানুষ সেক্স টয় সম্পর্কিত তাদের জড়তা এবং বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে তবে এই বিক্রির বৃদ্ধি হার ১০ থেকে ১৫শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। এগুলো বেশিরভাগই চীনে তৈরি এবং দামেও সস্তা।  ই-কমার্স বা ইন্টারনেটের বিস্তার এগুলো কেনা এখানে সহজ করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন ব্যাঙ্গালুরুর একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেকনাভিও’র বিশ্লেষক মি: যশুয়া।

আরও পড়ুন: ভালো বন্ধুর প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করছেন? ৩টি কারণে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত নয়…

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest