শহরের উপকন্ঠে এবং বিমানবন্দরের কাছে এই রিসর্টের চাহিদা সব দিনই রয়েছে। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী থেকে ব্যাচেলার্স পার্টি- অনেকেরই প্রথম পছন্দ বৈদিক ভিলেজ। গাছ-গাছালি ঘেরা এই প্রাকৃতিক পরিবেশে বিয়ের অনুষ্ঠান সারতে পারেন আপনিও। হোটেল, ব্যাঙ্কোয়েট থেকে স্যুইমিং পুল সবই পাবেন একসঙ্গে।
বিয়ে প্রত্যেকের জীবনেই যেন স্বপ্নের মতো। জীবনের এই বিশেষ দিনটিকে কী ভাবে সাজিয়ে তোলা যায়, তা নিয়ে সকলের মনেই নানান ধরনের পরিকল্পনা থাকে। পোশাক, সাজগোজ, খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হালফিলের বিয়ের পরিকল্পনায় জুড়েছে একটি নতুন শব্দ— ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। আপনাদের জন্য রইল কলকাতার আশেপাশেই পাঁচটি এমন জায়গার সন্ধান রইল, যেগুলি আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যের বিবাহ অভিযানকে করে তুলবে আরও সুন্দর ও মোহময় ।
- কলকাতার থেকে মাত্র তিন ঘন্টার দূরত্ব তাজপুরের। আর তাই সমুদ্রের ধারে নিজের এই বিশেষ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং হিসেবে বেছে নিতে পারেন তাজপুর। সমুদ্রের ধারেই রয়েছে প্রচুর রিসর্ট, ভিলা।
- কলকাতা থেকে মাত্র ৫১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রায়চক, উইক এন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। ফোর্ট রায়চক, গঙ্গাকুটির-সহ একাধিক রিসর্ট আছে। গঙ্গার ধারে সুন্দর মনোরম আবহাওয়ায় এই বিশেষ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে অবশ্যই বেছে নিতে পারেন ফোর্ট রায়চক।
- সদর স্ট্রিটের এই হোটেলের অন্দরসজ্জা বড়ই চমৎকার। সেই সঙ্গে রয়েছে রুফটপ গার্ডেনও। শহরের উপকন্ঠে খোলা আকাশের নীচে বিয়ে সারতে চাইলে দারুণ অপশন কিন্তু। এমনকী খাবারের দামও সাধ্যের মধ্যে। জনপ্রতি প্লেটের দাম পড়বে ৬৫০ টাকা, কর অতিরিক্ত।
- গঙ্গাবক্ষে ভেসে ভেসে বিয়ে করার মধ্যে অন্যরকম একটা রোমাঞ্চ রয়েছে। আর তাই নিজের জীবনের এই বিশেষ দিন যদি শুরু করতে চান গঙ্গার বুকে তাহলে কিন্তু পছন্দ হিসেবে রাখতেই পারেন ফ্লোটেল। সন্ধেবেলায় এই জায়গার আকর্ষণ একেবারে অন্যরকম।
- অনেকেরই ইচ্ছে থাকে রাজকীয় কায়দায় বিয়ে করার। এই ক্ষেত্রে বাওয়ালি রাজবাড়ি হতে পারে আপনার বিয়ের জন্য আদর্শ জায়গা। কলকাতা থেকে ঘণ্টা খানেকের দূরত্বে নোদাখালিতে এই রাজপ্রাসাদ রাজকীয় ঘরানার বিয়ের জন্য একদম আদর্শ। এখানকার প্রতিটি ঘর, বারান্দা, কিংবা দালান আপনাকে নিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়। সম্প্রতি টলিউড জুটি রাজ-শুভশ্রীর বিয়েও এখানে হয়েছে।