কাওয়াখালি: বেলা ১টা নাগাদ বাগডোগরায় নামেন নরেন্দ্রী মোদী। সেখান থেকে রওনা দেন শিলিগুড়ির কাওয়াখালি প্রাঙ্গণের উদ্দেশে। তাঁকে ঘিরে চরম উন্মাদনা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এই শিলিগুড়ি থেকেই এবার রাজ্যে প্রথম নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছেন তিনি।
- আপনাদের সমর্থনেই আমি সবার মোকাবিলা করি।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৌকা ডুবতে চলেছে। এত লোক দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে।
- এই মাটি বীরের মাটি। এখনও দেশকে দিশা দেখানোর জন্য আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
- অন্য রাজ্যে যেগতিতে কাজ হয়েছে, সেই গতিতে এই রাজ্যে কাজ হয়নি।
- কারণ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ‘স্পিড-ব্রেকার’। দিদির জন্যই এ রাজ্যের উন্নতি হয়নি। কেন্দ্রের সব জনমুখী প্রকল্পকে এ রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে দেননি দিদি।
- দিদির সরকার গরিবদের টাকা লুঠ করেছে। গরীবদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা খরচে চিকিৎসা হবে। কিন্তু সেই চিকিৎসা প্রকল্পে বাধা দিয়েছেন দিদি। রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষকদের উন্নতির জন্য কেন্দ্রের প্রকল্পে ব্রেক দিচ্ছেন মমতা।
- বাংলা আমাকে যা ভালোবাসা দিচ্ছে, তার জন্য মাথানত করে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা যা ভালোবাসা দিচ্ছেন, তাতে দিদির রাতের ঘুম চলে যাবে।
- আপনাদের শুভেচ্ছাতেই এত কাজ করেছি। আপনাদের শুভেচ্ছাতেই এগিয়ে যাব। আপনাদের চাওয়ালা এখানকার চা বাগানের উন্নতিও করব। খালি এই ‘স্পিড-ব্রেকার’ সরে যাওয়ার অপেক্ষা করছি।
- বালাকোটে আমাদের বায়ুসেনা জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মেরেছে। কিন্তু এই ঘটনার পর পাকিস্তান না কেঁদে কাঁদছে বিরোধী দল। যে দুঃখ ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোরে হয়েছে, সেই দুঃখ এ রাজ্যে বসে দিদিরও হয়েছে। দেশের সবার এই বায়ুসেনা হামলা ভালো লাগলেও দিদির ভালো লাগেনি। বিরোধী দলগুলো এই ঘটনায় এত জোরে জোরে কেঁদেছে যে পাকিস্তানে হিরো বনে গেছে।
- পশ্চিমবঙ্গে গরিবদের নিয়ে রাজনীতি করে তৃণমূল।