কলকাতা: রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জনতা কার্ফু’। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাড়িতে থেকে গোটা দিনটা কাটিয়েছেন কোটি কোটি দেশবাসী। সোমবার থেকে ফের এমনই লক ডাউন চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেল চারটে থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বন্ধ থাকবে যাবতীয় প্রতিষ্ঠান, পরিষেবা ও গণপরিবহণ।
সোমবার বিকেল ৪টের পর বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকান। চলবে না কোনও গাড়ি। সোমবার সকাল থেকে ট্রেন বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছে রেল। দেশের কোথাও কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে না বলে রেলের তরফে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: BREAKING: এবার লক ডাউন কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরশহর! কার্যকর সোমবার বিকেল থেকেই
অভূতপূর্ব এই লক ডাউনে যদিও চালু থাকবে সমস্ত জরুরি পরিষেবা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যাবতীয় দোকানও খোলা থাকবে এই ৫ দিন।
এক নজরে দেখেন নিন কী কী পরিষেবা খোলা থাকবে লক ডাউন চলাকালীন।
1. থানা পুলিশ, আদালত ও জেল
2. দমকল, সিভিল ডিফেন্স
3. হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, চশমার দোকান, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি।
4. ব্যাঙ্ক ও এটিএম পরিষেবা।
5. বিদ্যুৎ দফতর ও বিদ্যুৎ পরিষেবা।
6. জল পরিশোধন, পরিবহণ পরিষেবা।
7. রেশন দোকান, মুদি দোকান, সবজি, ফল, মাছ, মাংস, দুধ, পাউরুটির দোকান।
8. মুদি সামগ্রী ও খাদ্য বস্তুর হোম ডেলিভারি পরিষেবা।
9. পেট্রল পাম্প, রান্নার গ্যাসের দোকান ও ডিলারশিপ।
10. সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া।
আরও পড়ুন: Covid-19 Update: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেড়ে ৩৪১, মৃত ৭, লকডাউন বহু রাজ্যে
সোমবার অর্থাৎ ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যে সব এলাকার জন্য লকডাউন ঘোষিত হল, সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে বারণ করা হয়েছে। খুব জরুরি কাজে বেরলেও এক জায়গায় ৭ জনের বেশি লোককে জমায়েত হতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠান বা পরিষেবা অত্যাবশ্যকীয় কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হলে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক বা পুর কমিশনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বিধিনিষেধের রূপায়ণ সুনিশ্চিত করার জন্য যখন যে রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন, তা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুর কমিশনার, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমাশাসক, বিডিও এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের। এই আধিকারিকদের সব রকম সাহায্য করতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা যদি কেউ ভাঙেন, তা হলে প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।