অমরাবতী: করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির তিরুপতিতে ছাঁটাই করা হল ১৩০০ অস্থায়ী কর্মীকে। মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।অন্ধ্রপ্রদেশের চিতোর জেলায় অবস্থিত তিরুপতি মন্দিরে ভক্তদের দেওয়া প্রণামী থেকেই ওঠে কোটি-কোটি টাকা। যা এখন কার্যত বন্ধ।
লকডাউন চলছে গোটা দেশজুড়ে। লকডাউনের কারণেই সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গরিব মানুষকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র বারবার সামনে এসেছে।তবে মন্দিরেও যে ছাঁটাই শুরু হবে তা কেউ কল্পনা করেনি।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে লকডাউন তোলার সময় হয়েছে, বললেন কেজরিওয়াল
এই আর্থিক বছরেও তিরুপতি মন্দির ট্রাস্টের বাজেট ৩৩০৯ কোটি টাকা। সেই মন্দির ট্রাস্টের তরফেই ১ মে থেকে কাজে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৩০০ সাফাইকর্মীকে। চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার পর সাফাইকর্মীরা অবশ্য নতুন করে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের আবেদনে সে অর্থে কোনও সাড়া মেলেনি।
মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ওয়াইভি রেড্ডি বলেছেন, ‘এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা দেখছি, কীভাবে ওই কর্মীদের সাহায্য করা যায়।’ সেইসঙ্গেই অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, এই চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী ছাড়াও নিয়মিত যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদেরও লকডাউনের পর থেকে আর কোনও কাজ দেওয়া হয়নি। সমস্ত শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিষয়টির নিন্দা করা হয়েছে। স্থানীয় সিটু নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মন্দিরের কর্মীরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আগত ভক্তদের সুরক্ষার জন্য কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু আজ এই বিপদের দিনে তাঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল!মন্দির সূত্রে খবর, একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে তাঁরা সাফাইকর্মীদের কাজে রেখেছিলেন। কিন্তু ৩০ এপ্রিলের পর সেই চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়া দেবে কংগ্রেস, কেন্দ্রের সমালোচনা করে বড় ঘোষণা সনিয়ার