ভোপাল: প্রাণ বাজি রেখে একটি সিমেন্ট মিক্সারের ভেতরে বসে ফিরছিলেন ১৮ পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সীমান্তে তাদের ধরে ফেলল পুলিস।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ওই মিক্সারের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন ১৮ শ্রমিক। এদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। ওইটুকু জায়গার মধ্যেই গাদাগাদি করে বসেছিলেন তারা।এদের দুঃসাহস দেখে এবং দুঃসাহসের কথা শুনে হতবাক অনেকে। সাধারণ সময় এটি হয়তো দুঃসাহস বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু এখন এটি তারা করছে নিছকই নিরুপায় হয়ে।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু উজ্জয়িনী ও ইন্দারের মধ্যে একটি জায়গায় ওই মিক্সারটিকে দাঁড় করায় পুলিস। কিন্তু মাটি করে দেয় মিক্সারের চালক। তাকে থতমত খেতে দেখে পুলিসের সন্দেহ হয়। তার পরেই ঢাকনা খুলে বের করা হয় ওই ১৮ পরিযায়ী শ্রমিককে।
আরও পড়ুন: তবলিগ জামাতের ৩০০ সদস্য প্লাজমা দিচ্ছেন, টুইট করায় আমলাকে শোকজ
একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যে ঢাকনা খুলে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসছে তা একজনের জন্য যথেষ্ট নয়। তার মধ্যে দিয়েই ভেতরে ঢুকে মাল পত্র নিয়ে বসেছিল ওইসব শ্রমিকরা।ওই ঘটনায় ওই মিক্সার ট্রাকের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। পাশাপাশি ওইসব শ্রমিকদের আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের বাসে লখনউ পাঠানোর ব্যবস্থা করছে পুলিস।
পরিযায়ী শ্রমীকরা কেউ অপরাধী নন। তাছাড়া ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বিদেশ থেকে। এই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা প্রথমেই করা উচিত ছিল। সবঠিক আছে এই আশ্বাস যখন কেন্দ্র দিচ্ছিল তখন সময় নষ্ট না করে শ্রমিকদের ফেরানোর বন্দোবস্ত করা উচিত ছিল। দেশ লকডাউনের আগে জরুরি ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: Covid-19: করোনা রুখতে এবার কমলালেবু নিয়ে কাড়াকাড়ি, চড়ছে দাম