ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে সাতনায়, নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন এক শ্রমিক দম্পতি। পথেই সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। তাতে অবশ্য হাঁটায় ছেদ পড়েনি। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফের হাঁটতে শুরু করেন দু’জনে। পরে অবশ্য খবর পেয়ে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে সাতনা প্রশাসন।
অন্তঃসত্ত্বা হয়েও হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন শকুন্তলা। কিছুটা হাঁটার পর রাস্তাতেই সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। তবে মনের জোরের কাছে হার মেনেছে ক্লান্তি। সন্তান জন্ম দেওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে আবারও হাঁটতে শুরু করেন তিনি। মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া সেন্ধওয়ার কাছে আসার পর পুলিশের নজরে পড়েন যান তাঁরা।
MP: A pregnant migrant worker who was walking back to her village in Satna from Nashik in Maharashtra amid #CoronavirusLockdown, delivered a child on the way. Her husband says, "after she gave birth we rested for 2 hours then we walked for at least 150 km." (12.5) pic.twitter.com/WubC97wabz
— ANI (@ANI) May 13, 2020
সদ্যোজাত সন্তানকে দেখে সাহায্য করেন পুলিশ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং খাবারদাবারের ব্যবস্থা করেন পুলিশকর্মীরা। শকুন্তলার স্বামী রাকেশ জানিয়েছেন, সন্তান জন্মের পর মাত্র ২ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। এর পর ১৫০ কিমি পথ হেঁটে অতিক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: মোদীর প্যাকেজে চনমনে শেয়ারবাজার! ১১০০ পয়েন্ট চড়ল সেনসেক্স
মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার উচেহারা গ্রাম। পশ্চিম ভারত থেকে মধ্য ভারত।শকুন্তলার স্বামী রাকেশ বলছেন, ‘‘এক শিখ দম্পতি জামাকাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমাদের দেন। ’’ এর পরেও অবশ্য হাঁটায় ছেদ পড়েনি। রাকেশ বলছেন, ‘‘এর পর আমরা ঘণ্টা দু’য়েক বিশ্রাম নিয়েছিলাম। তার পর অন্তত ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিই।’’
শকুন্তলা ও সদ্যোজাতকে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। সাতনা ব্লক মেডিক্যাল অফিসার একে রায় বলছেন, ‘‘আমরা জানতে পারি, প্রশাসন তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে। তাঁরা গ্রামে পৌঁছতেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। মা ও সদ্যোজাতকে পরীক্ষা করা হয়েছে। দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন।’’এই নিয়ে চতুর্থ সন্তানের জন্ম দিলেন শকুন্তলা।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ কেবিন ব্যাগ, থাকতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ! জেনে নিন বিমান যাত্রার গাইডলাইনস…