#Loksabah Elections 2019: বিজেপিকে ভোট না দিলে ফল ভাল হবে না , মুসলিমদের সরাসরি হুমকি মানেকা গান্ধীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লখনউ: উত্তরপ্রদেশে সুলতানপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। ভোট না দিলে মুসলিমদের কোনো কাজ তিনি করে দেবেন না বলে হুমকি দিলেন সরাসরি। তাঁর বক্তব্যর ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে।

উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন মানেকা। বৃহস্পতিবার তিনি সুলতানপুরের তুরাবখানি এলাকায় সভা করেন। সভায় মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ক্যামেরা চালু ছিল। ক্যামেরার সামনেই মানেকা ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিন মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে।ওই বক্তব্যে কেন্দ্রীয মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে,মানেকার কথায়, একটা জরুরি কথা বলে নেওয়া দরকার। আমি জিতছি। মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েই আমি জিতছি। কিন্তু মুসলিমদের ভোট ছাড়াই যদি আমি জয়লাভ করি, তাহলে তত ভালো লাগবে না। দিল খাট্টা হো জায়েগা।

এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, তারপরে কোনও মুসলিম যদি আমার কাছে কোনও কাজ করাতে আসে, আমি ভাবব, যেমন আছে তেমনই থাক। তাতে কী যায় আসে। আসলে এটা গিভ অ্যান্ড টেকের ব্যাপার। তাই নয় কি? আমরা মহাত্মা গান্ধীর সন্তান নই। আমরা শুধু দিয়েই যাব, তারপর ভোটে হেরে যাব, এমনটা হতে পারে না। আপনারা ভোট দিলেও জিতব, না দিলেও জিতব।

কিছুক্ষণ পরে তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে ভোটে জিতেই গিয়েছি। কিন্তু আপনাদের আমাকে দরকার হবে। ভোটে এই বুথ থেকে যদি ৫০-১০০ টি ভোট পাই, তারপরে যদি আপনারা কোনও কাজ করাতে আসেন, আমি দেখব। আমি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করি না। আমি মানুষের দুঃখ, যন্ত্রণার কথা শুনি।আমি ভোটে ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছি। কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে, আমাকে ভোট দেবেন কিনা। যদি না দেন, আমিও আপনাদের অনুরোধে সাড়া দেব না।

মানেকা গান্ধী পিলভিতের সাংসদ ছিলেন। এখন সুলতানপুরের সাংসদ হলেন তাঁর ছেলে বরুণ গান্ধী। এবার বরুণ পিলভিত থেকে দাঁড়িয়েছেন। ১০ দিন আগে সুলতানপুরে প্রচার শুরু করেছেন মানেকা।

গত সপ্তাহেই মানেকার মন্তব্য নিয়ে একদফা বিতর্ক হয়ে গিয়েছে। তিনি বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীকে বলেছিলেন, ‘টিকিটের কারবারী’। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিএসপির টিকিট দেওয়ার জন্য মায়াবতী প্রত্যেক প্রার্থীর থেকে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা নিয়েছেন।তাঁর কথায়, সকলেই জানে মায়াবতী টিকিট বিক্রি করেন। তাঁর দলের সমর্থকরা গর্বের সঙ্গে সেকথা বলে বেড়ান। তাঁর ৭৭ টি বাড়ি আছে। ওই সব বাড়ির বাসিন্দারাই জানিয়েছে, টিকিট দেওয়ার জন্য মায়াবতী ১৫-২০ কোটি টাকা অথবা হিরে নিয়ে থাকেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest