কলকাতা: লোকসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সুষ্টু ও অবাধ হয়নি বলে দাবি করে গত বৃহস্পতিবার থেকেই পথে নেমেছে বিজেপি। শুক্রবারও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে প্রবল তর্কাতর্কি বাঁধে উভয়পক্ষে। কোচবিহারের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন করানোর দাবিতে অনড় মুকুলবাবু এর পরই ধরনায় বসে পড়েন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের ঘরের সামনে।
বৃহস্পতিবার লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফায় বাংলায় ভোট হয়েছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার আসনে। তার পর সন্ধ্যাতেই জেলা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর অভিযোগ ছিল, যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না, সেখানে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে অবাধে ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। সেই একই দাবিতে শুক্রবার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের দফতরে গিয়ে ধর্না দেন মুকুল রায়রা। অথচ উলটো সুর শোনা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি একবার বলছেন, ভোট ভাল হয়েছে। ভোট লুঠ করতে পারেনি শাসক দল। আবার পরক্ষণেই বলছেন, নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। প্রথম দফার ভোটের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ধাঁধায় খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের কথায়, ”ভোট ভাল হয়েছে। চেষ্টা করেছিল, তবে লুট করতে পারেনি। তবুও কোচবিহারের ৩১৫টি বুথে পুনর্ভোট চেয়েছি। নেতারা নির্বাচন কমিশনে ধরনায় বসেছেন। শুনেছি, আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী আসছে”।
বৃহস্পতিবারই বাংলায় আরও ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার তা আরও ২৬ কোম্পানি বাড়ানো হয়েছে। মোট ১৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আপাতত পাঠানো হয়েছে বাংলায়। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট হবে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জ আসনে। বিজেপি-র দাবি সেখানে সব বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিতে গেলে ১৩৪ কোম্পানিও যথেষ্ট নয়। তা আরও বাড়াতে হবে। প্রথম দফার ভোট দেখার পর রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই বক্তব্য ছিল, পঞ্চায়েতের সময় যে হিংসা, হানাহানির ছবি উঠে এসেছিল বাংলার ভোটে, সেই তুলনায় কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের ভোট হয়েছে মোটের উপর শান্তিপূর্ণই।