লখনউ: বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বিহারের পটনা সাহিব থেকে হাত-শিবিরের টিকিট পেয়ে গিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। স্ত্রী পুনম সিনহাও আরজেডিতে যোগ দিয়ে সপা-বসপা জোটের টিকিট পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে। বৃহস্পতিবার আরজেডি প্রার্থী স্ত্রীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে যান কংগ্রেস প্রার্থী স্বামী। যথারীতি এর পরই কংগ্রেস নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়তে হল তাঁকে।
দু’দিন আগেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে পুনমের। এ দিন স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন জমা দিলেন পুনম। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির আর এক সাংসদ এবং মূল কান্ডারি অখিলেশ যাদব পত্নী ডিম্পল যাদব। ও দিকে পুনমের বিপরীতে রয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বাভাবিক ভাবেই স্ত্রীর অসম লড়াইয়ে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে চাইছেন শত্রুঘ্ন। কিন্তু লখনউ থেকে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেসও। বর্ষীয়ান আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণামকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।পাটনা সাহিবের কংগ্রেস প্রার্থীকে সমাজবাদীর মনোনয়নে দেখে তাজ্জব হয়েছেন তিনি। পুনমের হয়ে শত্রুঘ্নর প্রচারের পরই প্রমোদ কটাক্ষবাণ নিক্ষেপ করেন তাঁর উদ্দেশে। তিনি বলেন, “শত্রুঘ্ন সিনহাজি এখানে এসে নিজের পত্নী-ধর্ম পালন করেছেন। এ বার তিনি এক দিনের জন্য আমার হয়ে প্রচারে এসে নিজের পার্টি-ধর্ম পালন করতে পারেন”।
কংগ্রেস প্রার্থী হয়েও লখনউয়ে স্ত্রী-র মনোনয়নে উপস্থিত হওয়ায় কংগ্রেস প্রার্থার রোষের মুখে পড়েন শত্রুঘ্ন। কংগ্রেস প্রার্থী আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম বলেন, রাহুল গান্ধী-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, আমি লখনউয়ের জনগণের সেবা করব। আমার কপালে লখনউয়ের মাটির তিলক আঁকা রয়েছে। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞ, আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। আটার্য কৃষ্ণম বলেন, আমি শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম তিনি লখনউতে আমার সমর্থনে প্রচার করুন। কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনুরোধ করছিলাম। আশা করেছিলাম তিনি দলের প্রোটোকল অনুসরণ করবেন। একজন কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে তিনি সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নে এসে প্রোটেকল ভেঙেছেন। আমি বলতে চাই, লখনউতে বিজয়ী হবে কংগ্রেসই। অন্য কোনও দল নয়। পাটনা সাহিব থেকে তাঁর জয়ের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল।