এবার টার্গেট মধ্যপ্রদেশ! সরকার ফেলতে কংগ্রেসের ৮ বিধায়ককে ‘আটক’ বিজেপির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: কর্নাটকের পর এবার কি মধ্যপ্রদেশে ফুটবে পদ্ম? ওই রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের আট বিধায়ককে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গুরুগ্রামের এক অভিজাত হোটেলে ‘আটক’ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রাজ্যে কংগ্রেস সরকার ফেলতে তাঁদের জোর করে আটকে রেখেছে বিজেপি। বিধায়কদের বিশাল অঙ্কের টাকার টোপও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রীরা ওই হোটেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে বিধায়কদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলের পনেরো মাসের মধ্যেই এই অভূতপূর্ব ‘সঙ্কটে’ কমল নাথ সরকার। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের দাবি, তাঁর সরকারের কোনও সঙ্কট হয়নি।

এই প্রথম নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে এর আগেও বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার রাত থেকে সরকারপক্ষের মোট আট বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদের মধ্য কংগ্রেসের ৪ জন, বহুজন সমাজ পার্টির ২ জন (এঁদের মধ্যে একজন কংগ্রেসে যোগদান করেছেন), সমাজবাদী পার্টির একজন এবং একজন নির্দল বিধায়ক আছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই আটজনকে মধ্যপ্রদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে হরিয়ানার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনার রীতিমতো হুলুস্থুল পড়ে যায় মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস শিবিরে।রাতভর বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। রাতেই গুরগাঁওয়ে ছোটেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তরুণ ভানত, দিগ্বিজয় সিংয়ের ছেলে জয়বর্ধন সিং এবং শীর্ষস্থানীয় নেতা জিতু পাটওয়ারি। রাত দুটো নাগাদ তাঁদের দেখা যায় ওই হোটেল থেকে বহিষ্কৃত বিএসপি বিধায়ক রামভাইকে বের করে নিয়ে যেতে।

আরও পড়ুন: অধীর চৌধুরীর দিল্লির বাড়িতে দুষ্কৃতী হানা, কর্মীকে মারধরের পরে লুঠ গুরুত্বপূর্ণ নথি

কংগ্রেস নেতা জয়বর্ধন সিংয়ের দাবি, মঙ্গলবার মাঝরাত পর্যন্ত ৬ জন বিধায়ককে তাঁরা উদ্ধার করতে পেরেছেন এবং বাকি ২জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। এই বিধায়কদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিজেপি তাঁদের আটকে রেখেছিল।২৩১ আসনবিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগেসের সদস্য ১১৪ জন। অন্য দিকে, বিজেপির দখলে রয়েছে ১০৭টি আসন। বাকি ৯টি আসনের মধ্যে ২টি বিএসপি, সপা-র ১টি এবং ৪টি নির্দলের দখলে রয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক: কাবু দিল্লি-নয়ডা-লখনউ, ৪০ জন পড়ুয়া ভর্তি আইসোলেশন ওয়ার্ডে, ভাইরাস আক্রান্ত অভিভাবক

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest