করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি আছে দেহে! দাবির পরেই পার্টিতে হাজির পপস্টার ম্যাডোনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: করোনা আবহে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারকাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। টম হ্যাঙ্কস ও তাঁর স্ত্রী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিনের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর এবার খবর পাওয়া গেল মার্কিন পপস্টার ম্যাডোনার। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নয়, তাঁর শরীরে পাওয়া গেছে করোনা প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্না ৬১ বছর বয়সী এই পপস্টারের শরীরে পাওয়া গেল এই অ্যান্টিবডি। নিজের ইনস্টাগ্রামে এই খবর শেয়ার করেন তিনি।

https://www.instagram.com/p/B_nnEvnh_2Y/

ন্টিবডি আসলে কি? তাঁর শরীরে এই অ্যান্টিবডি থাকার অর্থ হল তিনি সহজে করোনা আক্রান্ত হবেন না। যদিও এই তথ্য এখনও প্রমান সাপেক্ষ। তবে একথা ধরে নেওয়া যায় যে শরীরে অ্যান্টিবডি থাকার অর্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া। তিনি তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি থাকার খবর প্রকাশ করার পাশাপাশি লেখেন, “আমি কাল লং ড্রাইভ যাব, করোনার এই বাতাসে শ্বাস নেব। সূর্যও তখন হাসবে।”

এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রিটির উপর রীতিমতো নজরদারি চালাচ্ছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। আর তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে একটি ছবি। যেখানে দেখা গিয়েছে প্রতিবেশীর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছেন ম্যাডোনা। সঙ্গে রয়েছে তাঁর দুই সন্তানও।

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ম্যাডোনার তারকা প্রতিবেশী হলেন সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার স্টিভেন কেলিন। ছবি দেখে এটা স্পষ্ট নয় যে স্টিভেনের জন্মদিনের পার্টি কোথায় হয়েছে। তবে আন্দাজ ম্যাডোনা কিংবা স্টিভেন কারও একজনের বাড়িতেই ছিল এই পার্টি। বাকিরা অবশ্য জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও কলেই সামিল হয়েছিলেন স্টিভেনের জন্মদিন সেলিব্রেশনে। তবে সশরীরে হাজির ছিলেন ম্যাডোনা।

আরও পড়ুন: Covid 19: আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়াল, দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭২

https://www.instagram.com/p/B_tzZ3iH8OS/

ছবিতে দেখা গিয়েছে, দুই তারকার কারও মুখেই মাস্ক ছিল না। সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখার উদ্যোগও দেখা যায়নি পার্টিতে। বরং ছবিতে বেশ কাছাকাছি বসেই পোজ দিয়েছেন ম্যাডোনা এবং স্টিভেন। আর এসব দেখেই বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে নভেল করোনাভাইরাস। কোভিড আক্রান্ত এবং সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা মার্কিন মুলুকেই সবচেয়ে বেশি। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্কেই। আর সেই শহরের বাসিন্দা হয়ে ম্যাডোনা এবং স্টিভেন কেলিনের এ হেন অবিবেচকের মত আচরণ মেনে নিতে পারছেন না কেউই। নিজের দুই সন্তানকে কীভাবে ম্যাডোনা ওই পার্টিতে নিয়ে গেলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

যদিও ম্যাডোনার বন্ধু এবং সহকর্মী মাইকেল এল রুইজ পপ তারকার সমর্থনে ওই পার্টিরই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। এবং লিখেছেন, “স্টিভেনের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির ছিলেন হাতেগোনা ৪-৫ জন। বাকিরা যোগ দিয়েছিলেন ভিডিও কলেই। আর যাঁরা পার্টিতে এসেছিলেন তাঁরা সকলেই এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অতএব ম্যাডোনা বা স্টিভেন কেউই অবিবেচকের মত কাজ করেননি। নিজের সন্তানদেরও বিপদের মুখে ঠেলে দেননি ম্যাডোনা। অতএব, এসব সমালোচনা বন্ধ হোক।“

আরও পড়ুন: মিলল না হরিদ্বারে যাওয়ার অনুমতি, মুম্বইয়ের বানগঙ্গাতেই বিসর্জন করা হল ঋষির চিতাভষ্ম, দেখুন ভিডিও

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest