Site icon The News Nest

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ নবান্নে সর্বদল বৈঠক, দিলীপ ,বিমান, মান্নাদের সঙ্গে এক টেবিলে মমতা

mamata banerjee 1 700x400 5

The News Nest: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। স্বাস্থ্য দফতরের মঙ্গলবারের বুলিটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ১৪ হাজার ৭২৮, মৃতের সংখ্যা ৫৮০। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ২১৮ জন। আর এই নিয়ে বুধবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুর ৩টে নবান্ন সভাগৃহে বৈঠক হওয়ার কথা।

বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সোমবার ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। বৈঠকে থাকার কথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। পরে রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে বৈঠকে আমন্ত্রণের চিঠি পাঠানো হয়েছে সব দলকে।

আরও পড়ুন : কোভিড রোগীকে ফেরালে লাইসেন্স বাতিল বেসরকারি হাসপাতালের, নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

করোনা, লকডাউন, ‘আমপান’-সহ সাম্প্রতিক সব বিষয়েই এই সর্বদল বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। এর আগে ২৩ মার্চ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার দিনই প্রথম সর্বদল বৈঠক হয়েছিল নবান্নে। এ বারের বৈঠকের সূচি চূড়ান্ত করার আগে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমানবাবুর সঙ্গে।

বিধানসভায় আলোচনা করার পরিস্থিতি যে নেই, স্পিকার তা ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। নবান্নে সব পরিষদীয় নেতৃত্ব থাকলে স্পিকারেরও সেখানে যেতে অসুবিধা নেই বলে বিমানবাবু জানান। স্পিকার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রাজ্যের প্রয়োজনে এমন শীর্ষ স্তরের বৈঠকে আমি থাকব।’’

এবারের সর্বদল বৈঠক শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মমতা যখন বৈঠক ডাকছেন, তখন বোঝায় যাচ্ছে তিনি হোমওয়ার্ক করে রেখেছেন। তবে এটাও ঠিক তাঁর এসবের দরকার পরে না। সবটাই তাৎক্ষণিক। তবে এখন কেন্দ্রের সঙ্গে ব্যালান্স মেন্টেন করে চলছেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে বড় একটা চটাচ্ছে না। যার কারণে বঙ্গ বিজেপি খানিকটা চাপে।

দিলীপদের যাবতীয় হম্বি-তম্বি আসলে শাহ ও নমোর জোরে। কিন্তু তারা নিজেরাই এখন মস্ত বিপদে। তাই মমতাকে তাদের এই মুহুর্ত্তে দরকার। ফলে এখন তারা দিলীপদের হয়ে পিচ রেডি করে দিতে পারবে না। এই পিচেই খেলতে হবে।

লকডাউন শুরুর সময় সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে হাজির হয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রতি তখন সম্পূর্ণ আস্থা জানিয়েছিল ছাড়া। তিন মাস পর ফের সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মমতা। 

আরও পড়ুন : রেড রোডে দৌড় অর্ধনগ্ন- মদ্যপ যুবতীর! সামলাতে গিয়ে নাজেহাল পুলিশ

Exit mobile version