কলকাতা: দলে বিদ্রোহ রুখতে অবশেষে নিজেই ময়দানে নামলেন মমতা। দলে থেকে দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের সমালোচনা করা যাবে না বলে সতর্ক করলেন তিনি। শুক্রবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বললেন, ‘দলে থেকে আজে-বাজে বকা যাবে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট। সম্প্রতি তৃণমূলের মুষলপর্বে ইতি টানতে দলনেত্রীর এই ওষুধ কাজ করে কি না তা দেখার।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর থেকেই যেন আত্মসমালোচনার ঝড় উঠেছে তৃণমূলে। আর সব থেকে গুরুতর বিষয় হল একে অপরকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ঝড়ের পর কলকাতাবাসীর দুর্ভোগের জন্য প্রথম মুখ্য প্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মানিকতলার বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে।
আরও পড়ুন: Unlock 1: ১১ জুন থেকে খুলছে কলকাতা হাইকোর্ট, মানতে হবে কড়া নিয়ম
আমফান মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কলকাতার কোনও বিধায়কের সঙ্গে ফিরহাদ বৈঠক করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সঙ্গে কলকাতা পুরসভা পরিকল্পনাহীনভাবে কাজ করছে বলেও আওয়াজ তোলেন।
এর কয়েকদিন পরেই সাধন পান্ডেকে অপসারণের দাবি তুলে সরব হন বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। লকডাউন না চললে ১৫,০০০ লোক জড়ো করে সাধন পান্ডেকে তিনি উচ্ছেদ করতেন বলে দাবি করেন।
শুক্রবার সুন্দবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে নাম না করে বেঁধেন প্রবীণ মন্ত্রী তথা বালিগঞ্জের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আমফান বিধ্বস্ত সাগদ্বীপ পরিদর্শনে মন্ত্রী কেন যাননি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের যখন আর মাত্র ১ বছর বাকি। এই মহুর্তে বিরোধীদের এইসব ছোটোখাটো বিষয়ে ইস্যু করতে দিতে নারাজ নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মুকুল রায় বলে বেড়াচ্ছিলেন তৃণমূল থেকে সবাই নাকি হুড়মুড়িয়ে বিজেপিতে ঢুকবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তেমন কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু তেমনটা হয়নি। যারা গিয়েছিল, তারা অনেকেই আবার ফিরেছে।
তবে দিদিমণি বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাছাড়া লোকসভা ভোট হয়েছিল নরেন্দ্র মোদিকে দেখে। কেবল বাংলা নোপায় সব রাজ্যেই তাই বিজেপি ভালো ফল করেছিল। নরেন্দ্র মোদিকে দেখিয়ে যে ভোট হয়েছিল, দিলীপ ঘোষকে দেখিয়ে সেই ভোট হবে কিনা তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই দোলাচল রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু হলেও এবার থেকে শেষ দেখা দেখতে পাবে আত্মীয়রা, সিদ্ধান্ত রাজ্যের