কলকাতা: কলকাতায় আর কোনও বিমান নামতে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বিমান চলাচল চালু রেখে ভারত সরকার রাজ্যে জারি করা নিষেধাজ্ঞা এবং কোয়ারেন্টাইন আচরণবিধি ব্যাপক আকারে ভঙ্গ করছে দেখে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এর ফলে রাজ্যজুড়ে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে আমরা যে কঠিন বাধা অতিক্রম করে কাজ করে চলেছি, তা বিঘ্নিত হচ্ছে।’ মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘এই কারণে আপনাকে অনুরোধ করছি, প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত উড়ান অবিলম্বে বন্ধ করুন যাতে সংক্রমণের উৎস যথার্থ বন্ধ করা যায় এবং রাজ্যে প্রকৃত অর্থে লকডাউন জারি করা সম্ভব হয়।’
আরও পড়ুন:করোনার জের! শুরুর চার মাস আগেই পিছিয়ে যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিক
করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া রাজ্য প্রশাসন। এদিন বিকেল ৪টে থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লকডাউন। চলবে ২৭ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যারা বাইরে থেকে আসবেন, তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকর মধ্যেই নিয়ম ভাঙার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রেল যোগাযোগের পর উড়ান যোগযোগও বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর সেই মর্মেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রেল যাত্রায় সতর্কতার বেআব্রু ছবি সামনে আসার পরই মোদীকে চিঠি লিখে দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধের জন্য আর্জি জানান মমতা। ঘটনাক্রমে এরপরই রেলে কার্ফু ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রক।সেই সঙ্গে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় বাইরের রাজ্য থেকে বাংলায় বাস আসাও বন্ধ করে দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে, কোয়ারেন্টাইনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট আসা গতকালই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি বিমান শেষ এসেছে কলকাতায়। তার পর ওই বিমানের ২০০ জন যাত্রীকেই রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল, ঘরোয়া বিমান পরিষেবা কি কেন্দ্র বন্ধ করে দেবে? এ ব্যাপারে গতকাল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেজরিওয়ালের প্রস্তাব মোদী সরকার খারিজ করে দেয়। ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের তরফে বলা হয় যে, রবিবার থেকে আপাতত সাত দিন কোনও ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট ভারতে ঢুকবে না। কিন্তু ডোমেস্টিক ফ্লাইট চলবে।