লকডাউনে সংস্থার খরচে হোটেলে থাকা নিয়ে বিবাদ। তার জেরে কর্মীকে অপহরণ করে তাঁর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্র্রের এক সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে।মহারাষ্ট্রের কোথ্রুড অঞ্চলে সংস্থার দফতরে গত ১৩ ও ১৪ জুন তিন ব্যক্তি মিলে ওই কর্মীর উপরে শারীরিক নিগ্রহ চালায়। অভিযোগ, নিগ্রহকারীদের মধ্যে ছিল কর্মীর ‘বস’-ও। ঘটনার জেরে ২ জুলাই পাউদ থানায় একটি এফআইআর দাখিল করা হয়েছে।
ছবির প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থাকারী ওই সংস্থায় ম্যানেজার পদে কাজ করতেন নিগৃহীত কর্মী। গত মার্চ মাসে অফিসের কাজে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ হওয়ায় তিনি রাজধানীতে আটকে পড়েন।
আরও পড়ুন : চিনা অ্যাপ ব্যানে পরোয়া নেই, স্ক্যানের নয়া অ্যাপ আনল বাংলা, জানালেন মমতা
লজে থাকার সময় দফতরের দেওয়া সব টাকাই ওই কর্মী খরচ করে ফেলেন। গত ৭ মে পুনেতে ফিরে আসার পরে তাঁকে ১৭ দিন একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইন থাকার নির্দেশ দেয় সংস্থা কর্তৃপক্ষ। নিজের কাছে অর্থ না থাকায় হোটেলের খরচ মেটাতে বাধ্য হয়ে নিজের মোবাইল ফোন ও ডেবিট কার্ড বন্ধক দেন ওই কর্মী।
গত ১৩ জুন দিল্লি ও পুনের হোটেলে খরচ করা অর্থ ফেরৎ চেয়ে ওই কর্মীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান সংস্থার মালিক ও তাঁর দুই সহকারী। পুলিশ জানিয়েছে, ‘তাঁকে সংস্থার অফিসে নিয়ে গিয়ে বন্দি করা হয়। মালিক ও তাঁর দুই শাগরেদ মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধরের পরে গোপনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দেন।’ পরে ছাড়া পেয়ে এক বেসরকারী হাসপাতালে গিয়ে ভরতি হন নিগৃহীত কর্মী। গত বৃহস্পতিবার তিনি সংস্থার মালিক ও তাঁর দুই সহকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : চিনা অ্যাপ ব্যানে পরোয়া নেই, স্ক্যানের নয়া অ্যাপ আনল বাংলা, জানালেন মমতা