ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনেও বাড়িতে বসে নেই অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন নায়িকা। পাশাপাশি করোনা নিয়ে জন সচেতনতা তৈরিতেও কোনরকম খামতি নেই যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদের। শনিবার ভাইরাল চা কাকুর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিনভর সংবাদ শিরোনামে ছিলেন মিমি। এবার ঘরে বসেই মাস্ক তৈরির উপায় বাতলে দিলেন নায়িকা।
প্রথম থেকেই চলছিল মাস্ক ও স্যানিটাইজারের অকাল। ফলে জোর কদমে চলছিল কালোবাজারি। কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে ছিল অনেক মাস্ক ও স্যানিটাইজার আবার কিছু মানুষ পারেননি কিনতে । লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই পায়নি মাস্ক। অনেকেই রুমাল দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। নিজেকে বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছে মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন: রয়্যালটির অর্ধেকটা রতন কাহারকে দিতে চাই, ‘গেন্দাফুল’ বিতর্কে ইতি টানলেন
এই অবস্থায় মানুষের সমস্যার সমাধান করে দিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মিমির এলাকার বেশিরভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত। তাই তাদের পাশে দাঁড়ালেন মিমি। শিখিয়ে দিলেন কিভাবে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন মাস্ক । এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষার একমাত্র পথ বাড়িতে থাকা ও প্রয়োজনে বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করা। সেখানে যদি কেনার ক্ষমতা না থাকে অসুবিধার কোনো কারণ নেই।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সেই মাস্ক তৈরির পদ্ধতি দেখালেন মিমি। নায়িকা সকলকে আশ্বস্ত করে জানান, N95 মাস্ক না পাওয়া গেলেও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আর সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করলে সেটা ৫-৬ ঘন্টা পর অবশ্যই ফেলে দিতে হবে, কারণ সেটি পুনঃব্যবহারযোগ্য নয়।
বাড়িতে থাকা সুতির শাড়ি বা ওড়না এবং রাবার ব্যান্ড নিয়ে নিমেষেই মাস্ক তৈরি করে দেখালেন মিমি। পাশাপাশি এই ধরণে মাস্ক পরিষ্কার করে ধুয়ে জীবানুমুক্ত করে ফের ব্যবহার করা যাবে সেকথাও জানান মিমি চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ‘চা কাকু’র সারাজীবনের দায়িত্ব নিলেন মিমি চক্রবর্তী, কথা বললেন ভিডিয়ো কলে