করোনা সঙ্কট: মিস ইংল্যান্ড মুকুট খুলে রোগীদের পাশে বঙ্গতনয়া ভাষা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লন্ডন: পেশায় ডাক্তার, সমাজসেবী আবার বিলেত-সুন্দরীও। ২০১৯ সালে মিস-ইংল্যান্ড খেতাব পাওয়া প্রথম বাঙালি মেয়ে তিনিই। বিলেত-সুন্দরীর খেতাব জয়ের পরদিনই লিঙ্কনশায়ারের হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে যোগ দিয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই বঙ্গতনয়া ভাষা মুখোপাধ্যায়। করোনা সঙ্কটের এই জটিল মুহূর্তে ফের তাঁকে দেখা গেল এক অন্য ভূমিকায়। ডাক্তারি ছেড়ে সমাজসেবায় মন দিয়েছিলেন, ফের একবার গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে মরণাপন্ন রোগীদের পাশে দাঁড়ালেন ভাষা।

আরও পড়ুন: তীব্র শ্বাসকষ্ট! সঙ্কটজনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে সরানো হল আইসিইউতে

ইদানীং কলকাতায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, মার্চের শুরুতে মিস ইংল্যান্ড তার জন্মস্থান ভারতে দাতব্য প্রতিষ্ঠান কভেন্ট্রি মার্সিয়া লায়ন্স ক্লাবের আমন্ত্রণে চার সপ্তাহের জন্য এসেছিলেন। এখানে স্কুল শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্যে কাজ করছিলেন তিনি। 

ইংল্যান্ডে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যাবৃদ্ধি দেখে তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। করোনার মোকাবিলায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁর পুরনো কাজের জায়গায়। ভাষা সংবাদসংস্থা সিএনএন-কে জানিয়েছেন, “মিস ইংল্যান্ড শিরোপা নিয়ে এই সময় আমার ইংল্যান্ডের পাশে থাকাই সবচেয়ে জরুরি। একজন ডাক্তার হিসেবে আমার এখন পিলগ্রিম হাসপাতালে কাজ করা উচিত। আমি আমার সহকর্মীদের কাছে ওই অঞ্চলের খবর নিয়মিত শুনছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি কাজে যোগ দিতে চাই।”

15704334145d9ae986c2508

গত বুধবার ইংল্যান্ডে ফিরেছেন তিনি। ফিরে যদিও সরাসরি কাজে যোগ দিতে পারেননি। নিয়ম মেনে তাঁকেও সপ্তাহ দুয়েক গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। তারপর তিনি কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন ভাষা। উল্লেখ্য, বোস্টনের এই হাসপাতালেই জুনিয়র চিকিৎসক পদে চাকরি করতেন চিকিৎসা বিষয়ে দুটি পৃথক ডিগ্রিধারী ভাষা।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের হুমকির জের, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল সহ ২৪টি ওষুধ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলল কেন্দ্র

“বিশ্বের নানা দেশে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ডাকা হয়েছিল আমাকে। ডাক্তারি ছেড়ে দিয়েছিলাম তার জন্য। কিন্তু ব্রিটেনে আমার সহকর্মীরা সঙ্কটে রয়েছেন। তাঁদের ডাকে ফিরে এলাম”, বলেছেন ভাষা। তাঁর কথায়, “যেখানে এত মানুষ মরছে সেখানে সৌন্দর্যের মুকুট কী কাজে আসবে। ইংল্যান্ডই আমাকে সেরা সুন্দরীর খেতাব দিয়েছে, এবার তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তবেই এই খেতাবের সার্থকতা হবে।”

ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ও মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাষার মতো সেলিব্রিটির চিকিৎসা পেশায় প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে সে দেশের মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। 

আরও পড়ুন: লকডাউনের মেয়াদ কি বাড়বে? কেসিআরের আবেদনের পর তুঙ্গে জল্পনা

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest