পিতৃহারা হলেন মিঠুন চক্রবর্তী, বেঙ্গালুরুতে আটকে অভিনেতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যে মৃত্যু হল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তীর। মঙ্গলবার সন্ধেয় মুম্বইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫।

মৃত্যুর সময় বাবার কাছে ছিলেন না তিনি। লকডাউন শুরুর আগে শ্যুটিং-এর কাজে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন তিনি। লকডাউন শুরু হতে সেখানেই আটকা পড়েন অভিনেতা। জানা গিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মৃত বাবাকে শেষ বারের মতো দেখতে এবং শেষকৃত্যে অংশ নিতে মঙ্গলবার রাতেই ব্যক্তিগত গাড়িতে বেঙ্গালুর থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মিঠুন।

দীর্ঘকাল ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতার বাবা। বয়সও নব্বই পেরিয়েছে। তাঁর চার সন্তানের মধ্যে মিঠুনই সবথেকে বড়। তাই বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শেষকৃত্যের জন্যে অন্তত মুম্বই পৌঁছনোর আকুল চেষ্টা করছেন ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী। এপ্রসঙ্গে মিঠুনের বড় ছেলে মিমো, যিনি এই মুহূর্তে মুম্বইতে তাঁর পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন, শুটিংয়ের কাজে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু লকডাউনে ফিরতে পারেননি। তবে এখন শেষকৃত্যের জন্য মুম্বইতে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন:  বাড়ছে বিপন্নতা: গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে আরও দু’ধাপ নিচে নামল ভারত

মিঠুন ওরফে গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তী একসময়ে ক্যালকাটা টেলিফোনসে চাকরি করতেন। মা শান্তিময়ী ছিলেন গৃহবধূ। ৪ সন্তানের মধ্যে মিঠুনই বড়। রয়েছেন অভিনেতার তিন বোন। শোনা যায়, বেশ রাশভারী লোক ছিলেন বসন্তকুমার। কড়া নিয়মানুবর্তিতার মধ্যেই রাখতেন ছেলেমেয়েদের। তাই সাতের দশকে যখন নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে মিঠুনের যোগ পেয়েছিলেন, ছেলেকে তড়িঘড়ি মুম্বইতে পাঠিয়ে দেন। মিঠুনও তারপর নকশাল আন্দোলন ছেড়ে মু্ম্বইতে অভিনয় কেরিয়ারে মন দেন। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন অফ ইন্ডিয়া থেকে অভিনয় নিয়ে স্নাতক হন মিঠুন। যদিও ছেলের এই কেরিয়ার বাবা বসন্তকুমারের খুব একটা পছন্দ ছিল না, তবে সময়ে-অসময়ে সর্বদা ছেলের পাশে থেকেছেন বসন্তকুমার।

টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন:  করোনা আতঙ্কের আবহেই আজ বিশ্বজুড়ে পৃথিবী রক্ষার শপথ…

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest