নয়াদিল্লি: ভারতের শ্রেষ্ঠ শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি আর এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি নন। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় তাঁর ৫.৮ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির লোকসান হয়েছে। এর ফলে এশিয়ার ধনী ব্যক্তির তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছেন জ্যাক মা।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ সঙ্কট: মোদী-শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য,পতনের মুখে কমলনাথ সরকার
সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে রেশারেশির জেরে ২৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম দাম হয়েছে তেলের। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের ফলে হুহু করে কমছে জ্বালানির চাহিদা। করোনাভাইরাসের ফলে আলিবাবার ব্যবসা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চাহিদা বাড়ছে ক্লাউড কম্পুটিং সার্ভিসেস ও মোবাইল অ্যাপসের।২০১৮ অবধি প্রথম স্থানে ছিলেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। তারপর তাঁকে ছাপিয়ে যান আম্বানি।কিন্তু এবার তেলের শেয়ারে পতনের ফলে ফের শীর্ষ স্থানে চলে গেলেন তিনি। তাঁর মোট সম্পদ মুকেশ আম্বানির থেকে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার বেশি।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক: অসমে ৪০০ জনকে বিচ্ছিন্ন রাখল প্রশাসন
সৌদি আরবিয়ার অ্যারমাকোর সঙ্গে চুক্তি করে ২০২১ সালের শেষের মধ্যে নিজেদের মোট ঋণ মেটাতে চান মুকেশ আম্বানি।আর এক বছরের মধ্যে বাজারে তার যাবতীয় ধারকর্জের পিরমাণ শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তার জেরে রিলায়্যান্সের শেয়ারের দর পড়েছে হু হু করে। সোমবার শেয়ারের দাম পড়েছে ১২ শতাংশ। ২০০৯ সালের পর এতটা নেমে যায়নি মুকেশের রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম।এই বছর মোট ২৬ শতাংশ কমেছে রিলায়েন্সের শেয়ার। শুধু মুকেশ আম্বানি নয়, অন্যান্য ধনকুবের যাদের তেলের ব্যবসা আছে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল হ্যারোল্ড হ্যাম ও জেফ হিল্ডেব্যান্ড।