দিল্লির বাড়িতে মুকুল রায়ের সঙ্গে মাঝরাত পর্যন্ত বৈঠক শোভন-বৈশাখীর, বিজেপিতে থাকবেন কি না সেই নিয়ে হল ফায়সালা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার রাজনৈতিক জল্পনার মধ্যেই দিল্লি গিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করলেন শোভন চ্যাটার্জি এবং বৈশাখী ব্যানার্জি। সোমবার গভীর রাতে দিল্লি পৌঁছে সেখানে মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রায় তিনঘণ্টা কথা হয় তিনজনের মধ্যে।সেই আড্ডাতেই বেরোয় সমাধানসূত্র। আপাতত গেরুয়া শিবির তাঁরা ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন ওই দু’জন।

যোগদানের দু সপ্তাহের মধ্যেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয় শোভন ও বৈশাখীর। তার অন্যতম কারণ, দেবশ্রী রায়। দুজনের শত আপত্তি সত্ত্বেও রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান প্রায় পাকা। এমতাবস্থায় দলে অসম্মানিত বোধ করছেন দুজনে। দেবশ্রীকে নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা আগেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সূত্রের খবর, হাই কমান্ড দেবশ্রীর যোগদানে সবুজ সংকেত দেওয়ায় দল ছাড়ার মনস্থির করে ফেলেছেন তাঁরা।  তাতেই অস্বস্তিতে পড়ে বিচ্ছেদ আটকাতে মাঠে নামেন কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তাঁর ডেপুটি অরবিন্দ মেনন। 

সূত্রের খবর, গত দু’দিনে দিল্লিতে বিজেপি-র কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। বিজেপি-র ওই সূত্রের মতে, তাঁদের পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই চলতে হবে। এর পরই গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় মুকুলকে। জানা গিয়েছে, মুকুলবাবু রাত আটটা নাগাদ দিল্লি পৌঁছনোর পর, অনেক রাতে সাউথ অ্যাভিনিউর বাড়িতে যান শোভন-বৈশাখী। ওই মিটিং শেষ হতে হতে সওয়া ১২ টা বেজে যায় বলেই খবর। 

মঙ্গলবার সকালে মুকুল রায় বলেন, “আমি দিল্লিতে ছিলাম। ওঁরাও দিল্লিতে ছিলেন। আমাকে আমার দলের মহাসচিব একবার বললেন, ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে। সেই কারণেই এই আড্ডায় বসলাম। যে জল্পনা উঠছে যে শোভন-বৈশাখী বিজেপি ছাড়ছেন, তা মিথ্যা। ওঁরা বিজেপিতে ছিলেন, আছেন।”

বৈশাখী বলেন, “যা জল্পনা ছড়িয়েছে সবই মিথ্যা। বিজেপি ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা বিজেপিতেই আছি। আমার কিছু অভিমান ছিল। মুকুলদা সেটা শুনেছেন।” এই প্রসঙ্গে মুকুলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শোভনও। তিনি বলেন, “মুকুলদা আমার দাদার মতো। আমরা দিল্লিতে এলেই ওঁর সঙ্গে দেখা করি। আজও করেছি। তৃণমূলে থাকাকালীনই আমি ওঁর পরামর্শ নিতাম। বিশেষ কিছু কারণে আমরা দু’জনেই তৃণমূল ছেড়েছি। আজও কিছু সমস্যা হয়েছিল। কথা বললাম, মিটে গিয়েছে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest